ধর্ষণ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে ভুক্তভোগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রীর অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। মঙ্গলবার সংহতি প্রকাশ করে অবিলম্বে ঢাবির সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন তারা। সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণকে রাজনীতির হাতিয়ার বানিয়েছে। নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর। এটি প্রকাশ্যে বুঝা যাচ্ছে যে, নুর ধর্ষণের পক্ষে।
ওই সময় দাবি উঠে, ছাত্র অধিকার পরিষদ ধর্ষণের ঘটনাকে রাজনৈতিক মোড় দিচ্ছে। নির্যাতিতার চরিত্রে কালিমা লেপনের অপচেষ্টা করছে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক।
হার্ট অ্যাটাক করেছেন রিজভী, অবস্থা সংকটাপন্ন
সংহতি প্রকাশ করে ২০০১ সালে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ধর্ষণের শিকার পূর্নিমা রানী শীল অভিযোগ করেন যে, বিচারের দীর্ঘসূত্রতার জন্য তাকে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এখনো মামলার জন্য তাকে হাইকোর্টে গিয়ে দাড়াতে হয়। মামলার রায় এখনো পাচ্ছে না বলে দাবি করেন পূর্নিমা রানী শীল।
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, শুধু আইন পড়েই সব হয় না। এর সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গিও বদলাতে হবে।
নির্যাতনের শিকার ছাত্রী বলেন, রাজনৈতিক বলয়ে মূল আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। যতক্ষণ আসামিরা বাইরে থাকে ততক্ষণ তদন্ত প্রতিবেদন প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা হয়ে থাকে। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ধর্ষণ মামলার সব আসামিকে গ্রেফতারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ধর্ষণের শিকার ঢাবির ছাত্রী।