ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ Logo কারো কোনো ব্যথা নেই, শিক্ষকদের দাবি না মানায় চলছে টানা কর্মবিরতি Logo দশমিনা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইকবালের চতুর্থ জানাযা সম্পন্ন Logo শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সনেট Logo শাপলা না পাওয়ার প্রশ্নই আসে না: ময়মনসিংহে এনসিপির সারজিস আলম Logo অধ্যক্ষসহ ৫৫ জনের ভুয়া সনদ! বনপাড়া আদর্শ কলেজে নিয়োগ কেলেঙ্কারি ফাঁস Logo মিরপুরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোক প্রকাশ : তারেক রহমান Logo পানছড়ির জিয়ানগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo সব সরকারি কলেজে শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন, পরীক্ষাও স্থগিত Logo ১৬ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম সুষ্ঠু নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা

বিনা নোটিশে উচ্ছেদ অভিযান, রেল কর্মচারীরা বিপাকে

News Editor
  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৬৬ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জংশন এলাকায় রেলওয়ের উন্নয়ন কাজের জন্য দুদিন ধরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। কর্মচারীদের নামে বরাদ্দ থাকা কয়েকটি বাসা এর মধ্যে রেলের নোটিশ না দিয়ে ভেঙে ফেলায় বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বরাত জানা গেছে যে, লাকসাম-আখাউড়া ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণসহ আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের উন্নয়ন কাজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

স্থানীয় রেলওয়ের কর্মচারী মো. জসিম উদ্দিনের অভিযোগ, তিনি রেলের যে কোয়ার্টারে থাকেন সেটির চলতি মাসের ভাড়াও পরিশোধ করে রেখেছিলেন। কিন্তু  বৃহস্পতিবার হুট করে এসেই তার নামে বরাদ্দ থাকা বাসা ভাঙতে শুরু করে কর্তৃপক্ষ। মালামাল সরানোর জন্য সময় চাইলেও সেটি দিতে তারা রাজি হয়নি। এ অবস্থায় তার মতো আরো অনেকেই চরম বিপাকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।

রেলের ইলেকট্রিক বিভাগে কর্মরত আরেক কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ দাস জানান, ‘’ আমরা বৈধভাবে কোয়ার্টারে বসবাস করে আসছি। আমরা জানতাম আপাতত অবৈধভাবে বসবাসরতদের বাসা ভাঙা হবে। যাদের নামে বরাদ্দ আছে তাদের অন্যত্র ব্যবস্থা করে দেয়ার পর কোয়ার্টার ভাঙা হবে। কিন্তু সেটা না করে হুট করে বাসা ভেঙে দিল তারা।‘’

উল্লেখ্য, গত বুধবার রেলস্টেশনের উত্তর দিকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এবং গত বৃহস্পতিবার বিকাল নাগাদ ১৭টি কোয়ার্টার ও রেলের জায়গায় থাকা অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের ঊর্ধ্বতন উপসহাকরী প্রকৌশলী (কার্য্য) মো. আশিকুর রহমান জানান , ‘’রেলওয়ের বাসাগুলো আমাদের অধীনে হলেও আসলে অভিযানের কাজটি করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এ বিষয়ে তারা আমার সাথে আগে কথা বলেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলেছে যে যাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে তাদের ইতোমধ্যে সরে যেতে বলা হয়েছিলো। অন্যদের বাসা তাৎক্ষণিকভাবে বরাদ্দ বাতিল করে মালামাল সরানোর সময় দেয়া হয়েছিলো।‘’

যাদের নামে এখনও বরাদ্দ আছে তাদের অন্যত্র ব্যবস্থা করে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

অভিযানের আওতায় থাকা রেলওয়ের পুনর্বাসন কর্মকর্তা আশিক মাহমুদুল হক জানান, ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তদের সরে যাওয়ার জন্য পূর্বে একাধিক চিঠি দেয়া হয়। নোটিশ পাঠানো হয় ।কিন্তু অনেকেই এখনো সরেননি। আইন মেনে বরাদ্দ থাকা অবস্থায় কোনো কোয়ার্টার ভাঙা হয়নি বলে জোর দাবি করেন তিনি।

 

বিনা নোটিশে উচ্ছেদ অভিযান, রেল কর্মচারীরা বিপাকে

আপডেট সময় : ১২:৪৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জংশন এলাকায় রেলওয়ের উন্নয়ন কাজের জন্য দুদিন ধরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। কর্মচারীদের নামে বরাদ্দ থাকা কয়েকটি বাসা এর মধ্যে রেলের নোটিশ না দিয়ে ভেঙে ফেলায় বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বরাত জানা গেছে যে, লাকসাম-আখাউড়া ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণসহ আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের উন্নয়ন কাজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

স্থানীয় রেলওয়ের কর্মচারী মো. জসিম উদ্দিনের অভিযোগ, তিনি রেলের যে কোয়ার্টারে থাকেন সেটির চলতি মাসের ভাড়াও পরিশোধ করে রেখেছিলেন। কিন্তু  বৃহস্পতিবার হুট করে এসেই তার নামে বরাদ্দ থাকা বাসা ভাঙতে শুরু করে কর্তৃপক্ষ। মালামাল সরানোর জন্য সময় চাইলেও সেটি দিতে তারা রাজি হয়নি। এ অবস্থায় তার মতো আরো অনেকেই চরম বিপাকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।

রেলের ইলেকট্রিক বিভাগে কর্মরত আরেক কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ দাস জানান, ‘’ আমরা বৈধভাবে কোয়ার্টারে বসবাস করে আসছি। আমরা জানতাম আপাতত অবৈধভাবে বসবাসরতদের বাসা ভাঙা হবে। যাদের নামে বরাদ্দ আছে তাদের অন্যত্র ব্যবস্থা করে দেয়ার পর কোয়ার্টার ভাঙা হবে। কিন্তু সেটা না করে হুট করে বাসা ভেঙে দিল তারা।‘’

উল্লেখ্য, গত বুধবার রেলস্টেশনের উত্তর দিকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এবং গত বৃহস্পতিবার বিকাল নাগাদ ১৭টি কোয়ার্টার ও রেলের জায়গায় থাকা অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের ঊর্ধ্বতন উপসহাকরী প্রকৌশলী (কার্য্য) মো. আশিকুর রহমান জানান , ‘’রেলওয়ের বাসাগুলো আমাদের অধীনে হলেও আসলে অভিযানের কাজটি করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এ বিষয়ে তারা আমার সাথে আগে কথা বলেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলেছে যে যাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে তাদের ইতোমধ্যে সরে যেতে বলা হয়েছিলো। অন্যদের বাসা তাৎক্ষণিকভাবে বরাদ্দ বাতিল করে মালামাল সরানোর সময় দেয়া হয়েছিলো।‘’

যাদের নামে এখনও বরাদ্দ আছে তাদের অন্যত্র ব্যবস্থা করে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

অভিযানের আওতায় থাকা রেলওয়ের পুনর্বাসন কর্মকর্তা আশিক মাহমুদুল হক জানান, ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তদের সরে যাওয়ার জন্য পূর্বে একাধিক চিঠি দেয়া হয়। নোটিশ পাঠানো হয় ।কিন্তু অনেকেই এখনো সরেননি। আইন মেনে বরাদ্দ থাকা অবস্থায় কোনো কোয়ার্টার ভাঙা হয়নি বলে জোর দাবি করেন তিনি।