শেখ সাগর আহমেদ, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি: বাগেরহাটে নদী-নালা সমৃদ্ধ রামপাল উপজেলা কে ইলিশ কার্যক্রম এলাকা হিসাাবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠন। সংগঠন গুলো হল, রামপাল উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি, মংলা-ঘষিয়াখালি চ্যানেল রক্ষা সংগ্রাম কমিটি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বাগেরহাট জেলা।
জানাগেছে, রামপাল উপজেলায় ছোট-বড় ৮ টি নদী সাড়ে ৩ শত খাল রয়েছে। এক সময়ে এইসব নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যেত। জলবায়ু পরিবর্তন জনি কারণে ও মানুষের বলি হয়ে নদীগুলি তারা নাব্যতা হারায়। এতে নদীগুলিতে মৎস্য শূূন্য হয়ে পড়ে। এর প্রভাবে মোংংলা বন্দর ও সুুুন্দরবন হুমকির মুখে পড়ে। গত দুই বছর পূর্বে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রামপাল-মোংলার ৮৩ টি খাল ও নদী খনন শুরু হয়। এতে নদীগুলো সচল হয় ও নাব্যতা বৃদ্ধি পায়। এ ব্যাপারে রামপাল উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি ও মোংলা ঘোষিয়াখালী চ্যানেল রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন শেখ বলেন, এসব নদী-খালে আবারো ইলিশ মাাছসহ ও অন্যান্য পাওয়া যাচ্ছে সরকারিভাবে উপজেলা কে ইলিশ কার্যক্রম এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা হলে নদী-খালে অত্যাচার কমে যাবে এবং আগের মতই এসব নদীতে ইলিশসহ সকল মাছ পাওয়া যাবে। সুতরাং এসব নদীকে ইলিশ এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা হোক।
টাঙ্গাইলের ছেলের হাতে বাবা খুনের অভিযোগ
এব্যাপারে রামপাল উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, আমরা ইতিপূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে এ উপজেলাকে ইলিশ কার্যক্রম এলাকা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেছি। সরকারিভাবে এ উপজেলাকে ইলিশ কার্যক্রমের আওতায় আনা হলে নদীগুলো আবারো ইলিশে ভরপুর হয়ে উঠবে।