সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘পুলিশের নির্যাতনে’ রায়হান আহমদ নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার পুলিশের কনস্টেবলকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার টিটু চন্দ্র দাসকে হেফাজতে নিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সিলেটের জ্যেষ্ঠ মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জর করেন।
এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মাহিদুল হাসান।
গত ১২ অক্টোবর বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। এর মধ্যে এসআই আকবর পলাতক এবং বাকিরা মহানগর পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেবে না ঢাবি
পরিদর্শক মাহিদুল হাসান জানান, সোমবার বিকালে সিলেটের জ্যেষ্ঠ মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে ঘটনার সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ওই সময়ে কর্মরত পুলিশ সদস্য দেলোয়ার হোসেন, সাইদুর রহমান ও শামীম আহমদ।
তাদের জবানবন্দিতে টিটু দাসের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে গত ১২ অক্টোবর মামলা করেন। এরপরই মহানগর পুলিশের একটি তদন্ত দল সার্বিক বিষয় তদন্ত করে। মামলাটি এখন তদন্ত করছে পিবিআই।
গত ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরীর আখালিয়ার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করা হয়। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।