ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৪:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৬৯ বার পড়া হয়েছে

কোভিড বাস্তবতায় বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে অন্যবারের তুলনায় কয়েক গুণ কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে। মূল দায়িত্ব নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরই। এদিকে পরীক্ষা নিয়ে দ্বিধা কাটছে না ভর্তিচ্ছুদের।

কোভিড বাস্তবতায় ভিন্ন চিন্তা করতেই হচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নেয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ। অনলাইনে নাকি সরাসরি? আগের মতোই হবে নাকি সমন্বিত পদ্ধতি? এখনো পর্যন্ত শুধু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে, তারা সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা নেবে। তবে সেটা অনুষ্ঠিত হবে বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।

অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেবে না ঢাবি

এক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকেই যায়- ঢাকার বাইরে হলে কতটা স্বচ্ছ হবে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বর্তমান বাস্তবতায় এই সিদ্ধান্তের বিকল্প ছিল না। তবে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা হলেও নিজেদের শিক্ষকদের দায়িত্ব দেয়ার কথা ভাবছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ইতিহাস অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ঝুঁকির কথা বললে সেটা থাকে। তাছাড়া ঢাবির ভেতর থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় না, তেমন তো না।

ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ডিন হাসানুজ্জামান বলেন, প্রশ্নের যেসব ক্ষেত্রে রিস্ক রয়েছে সেখানে আমরা শিক্ষকরা থাকব।

বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। তবে ভিন্নমতও আছে কারও কারও।

পরীক্ষার মানবণ্টনেও পরিবর্তন আসছে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় লিখিত ৫০, এমসিকিউ ৩০ এবং এসএসসি ও এইচএসসি ওপর ২০ নম্বর। অধ্যাপক মেজবাহ কামাল মনে করেন, আগের পরীক্ষার ওপর কোনো নম্বরই রাখা উচিত নয়।

ডিনস কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত রূপরেখা নির্ধারণ করবে।

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে

আপডেট সময় : ০৪:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০

কোভিড বাস্তবতায় বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে অন্যবারের তুলনায় কয়েক গুণ কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে। মূল দায়িত্ব নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরই। এদিকে পরীক্ষা নিয়ে দ্বিধা কাটছে না ভর্তিচ্ছুদের।

কোভিড বাস্তবতায় ভিন্ন চিন্তা করতেই হচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নেয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ। অনলাইনে নাকি সরাসরি? আগের মতোই হবে নাকি সমন্বিত পদ্ধতি? এখনো পর্যন্ত শুধু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে, তারা সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা নেবে। তবে সেটা অনুষ্ঠিত হবে বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।

অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেবে না ঢাবি

এক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকেই যায়- ঢাকার বাইরে হলে কতটা স্বচ্ছ হবে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বর্তমান বাস্তবতায় এই সিদ্ধান্তের বিকল্প ছিল না। তবে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা হলেও নিজেদের শিক্ষকদের দায়িত্ব দেয়ার কথা ভাবছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ইতিহাস অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ঝুঁকির কথা বললে সেটা থাকে। তাছাড়া ঢাবির ভেতর থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় না, তেমন তো না।

ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ডিন হাসানুজ্জামান বলেন, প্রশ্নের যেসব ক্ষেত্রে রিস্ক রয়েছে সেখানে আমরা শিক্ষকরা থাকব।

বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। তবে ভিন্নমতও আছে কারও কারও।

পরীক্ষার মানবণ্টনেও পরিবর্তন আসছে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় লিখিত ৫০, এমসিকিউ ৩০ এবং এসএসসি ও এইচএসসি ওপর ২০ নম্বর। অধ্যাপক মেজবাহ কামাল মনে করেন, আগের পরীক্ষার ওপর কোনো নম্বরই রাখা উচিত নয়।

ডিনস কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত রূপরেখা নির্ধারণ করবে।