যাদের স্বার্থ রক্ষায় আন্দোলন হয়েছিল, সেই ঘরোয়া ক্রিকেটাররাই আর্থিকভাবে তেমন লাভবান হয়নি। এমনটাই মনে করেন কোয়াবের সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয়। তার অভিযোগ, দাবি মেনে পুরো কমিটি পদত্যাগ করতে রাজি হলেও, গঠনতন্ত্রের জটিলতাগুলো জেনে আর যোগাযোগ করেনি ক্রিকেটাররা।
আন্দোলন ছিল মূলত ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ ফিসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবিকে কেন্দ্র করেই। শতাংশের হিসেবে যা বেড়েছে বেশ। কিন্তু বিসিবির বার্ষিক আয় এবং টেস্টখেলুড়ে দেশ হিসেবে অবস্থানের বিবেচনায় অন্য দেশের সঙ্গে তুলনায় গেলে টাকার অঙ্কে যে এখনও তা ঘরোয়া ক্রিকেটারদের আশা পূরণ করতে পারেনি। সে বাস্তবতাই জানালেন কোয়াব সভাপতি।
কোয়াব সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয় বলেন, যাদের সামনে নিয়ে আন্দোলন হয়েছে, তারা কিন্তু খুব একটা লাভবান হয়নি। তারা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা বলেছিল। বিষয়টা অনেকটা এমন, যে ক্রিকেটার ২৫ হাজার টাকা পেত সে এখন ৩০ হাজার পায়। আর যে ৪ লাখ পেত, সে পাচ্ছে ৬ লাখ টাকা। ঘুরে ফিরে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদেরই লাভ হয়েছে।
ঘোষিত ১৩ দফার প্রথমটিই ছিল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-কোয়াবের কমিটির বিলুপ্তি। এখনও ওই সংগঠনের সভাপতি নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও সহসভাপতির পদে আছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। কিন্তু ক্রিকেটারদের দাবির মুখে তাৎক্ষণিকভাবেই পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু প্রথমে আগ্রহ দেখালেও পরবর্তীতে ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে এক জহুরুল ইসলাম অমি ছাড়া নাকি কেউই আর নির্ধারিত মিটিংয়ে উপস্থিত হননি।
নাইমুর রহমান দুর্জয় আরও বলেন, ‘তাদের যে দাবি ছিল, ওইভাবে তো আর একটা সংগঠনকে কারও হাতে ছেড়ে দেয়া যায় না। মিটিং হবে, এজিএম হবে। এখানে যে ভোটের মাধ্যমে কমিটি হয়, সেই ধারণাও অনেকের ছিল না। তাদের আমরা গঠনতন্ত্র বুঝিয়েছি। এরপর থেকেই তাদের আগ্রহ কমে গেছে। মিটিংয়ের তারিখ ও ভেন্যু ঠিক করলেও তারা আসেনি। ফোন বন্ধ করে উধাও হয়ে গেছে।’
ক্রিকেটার নাইম ইসলাম বলেন, ‘ওই সময় আমাদের খেলা ছিল। তাই দু-একজন ছাড়া আর কেউ মিটিংয়ে যেতে পারিনি। তবে দুর্জয় ভাই, সুজন ভাইদের চলে যেতে হবে, বিষয়টা এমন না। গঠনতন্ত্রে কিছু পরিবর্তন দরকার। আবারও নির্বাচন হলে তারা তো আবারও আসতে পারে।’
আন্দোলনের ফলে সব পর্যায়ের ক্রিকেটাররা এসেছিলেন এক ছাতার নিচে। কিন্তু দূরদর্শিতার অভাবে সে ঐক্য আর ধরে রাখতে পারেনি তারা, এমনটাই মনে করেন কোয়াব সভাপতি।