আগে এলসি করা ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ এসেছে, নতুন করে শিগগিরই আরো ২০ হাজার টন পেঁয়াজ আসবে বলে জানিয়েছেন ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বুধবার (২১ অক্টোবর) কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের কৃষি, কৃষিযন্ত্রপাতি, কৃষিপ্রসেসিং, বীজ প্রযুক্তি এবং ডেইরি প্রসেসিং নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় কৃষিসচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের যেভাবে মূল্যায়ন করা হবে
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়ে দোরাইস্বামী বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি ও দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশে ২০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। আবহাওয়ার উন্নতি হলে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি পরিমাণ আরো বাড়বে।
ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, ভারতের মাহিন্দ্রসহ অন্যান্য কৃষিযন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বাংলাদেশে তাদের ফ্যাক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরিতে বিনিয়োগ করে সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকীকরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সরকার প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রচুর কৃষি-যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে ভারতের কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের ফ্যাক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতে ও বাজারজাতে বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে। আর ভারত এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে আছে। সে জন্য এসব ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দুই দেশের একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বীজ প্রযুক্তি, বিটি কটন, ভুট্টা, কাজুবাদামসহ উন্নত জাত ও চারা সরবরাহ, দুগ্ধ প্রসেসিং, এগ্রো প্রসেসিং ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। ভারতের সাথে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।