মহাষষ্ঠী তিথিতে বোধনের মধ্য দিয়ে কাল শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। করোনা মহামারীর কারণে এবার উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা কমিয়ে আনা হয়েছে। মন্দিরে মন্দিরে চলছে রং তুলির শেষ মুহূর্তের আঁচড় আর দেবীর সাজসজ্জার কাজ।
কাশবন ও আকাশের শুভ্র ছবি বলে যেন দেয় অশুভ শক্তিকে দমন এবং দেশের শান্তি ও কল্যাণে দেবী দুর্গা মর্ত্যলোকে আসছেন। এমন বিশ্বাস সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।
ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, দোলায় দেবীর আগমন আর দেবীর গমন হাতিতে চড়ে। সময় যতো গড়াচ্ছে ব্যস্ততা বাড়ছে ভক্তদেরও। আয়োজকদের ফরমায়েশ অনুযায়ী গড়ে তোলা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন অস্থায়ী পূজামণ্ডপ।
প্রতিমা শিল্পী জানান, কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন প্রতিমাকে রং দেওয়াসহ অন্য কাজগুলো শেষ করা হচ্ছে।
ভক্তরা বলছেন, জাঁকজমক আয়োজন না থাকলেও পূজা যথারীতি আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে হবে।
আরেকজন বলেন, মা দুর্গারকে আমরা প্রার্থনা করবো। বিশ্বের সকল মানুষ যেন করোনামুক্ত হয়।
শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছে পূজা কমিটি।
রায় সাহেব পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন বোস বলেন, এ বছর আনসার ও পুলিশ সদস্য থাকবে না। নিজেদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিয়ে মা দুর্গাকে নিরাপত্তা দেয়া হবে।
পূজা উৎযাপন পরিষদ কর্তৃপক্ষ জানান, করোনার কারণে এবারের দুর্গাপূজা অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
দিনাজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু
জেলার ১৩টি উপজেলায় এবার ১ হাজার ২৮৩টি মণ্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।