ঢাকা ১২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২

হাজি সেলিম পরিবারের অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক

News Editor
  • আপডেট সময় : ০১:১৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
  • / ১১৩৩ বার পড়া হয়েছে

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের সূত্র ধরে এবার ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মো. সেলিম ও তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নামতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, হাজী সেলিম ও ইরফান সেলিমের সম্পদের প্রাথমিক তথ্য নেওয়া হচ্ছে। শিডিউলভুক্ত অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার আরও জানান, হাজী সেলিম এবং তার ছেলে ইরফান সেলিমের বিষয়ে আমরা বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ দেখেছি। বিষয়গুলো আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বলেও লক্ষ করা যায়। তবে অবৈধ সম্পদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না তা পরিষ্কার নয়। অবৈধ সম্পদের বিষয়গুলো যদি দুদকের শিডিউলের সঙ্গে সম্পর্কিত হয় এবং শিডিউলভুক্ত অপরাধের শামিল হয়, তাহলে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব এবং দুদকের আইন অনুসারে পরবর্তী সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি সরকারের জায়গা বা সম্পত্তি যদি দখল হয় এবং তা দুদক আইনের আওতাভুক্ত হলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইরফানের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তের দায়িত্ব যাচ্ছে ডিবির হাতে

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, হাজী সেলিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে পুরান ঢাকার বেশকিছু এলাকায় সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি, ভবন ও মার্কেট দখলের অভিযোগ রয়েছে। ইতঃপূর্বে এসব নিয়ে কথা উঠলেও প্রভাবশালী হওয়ায় কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। তবে এবার হাজী সেলিমের ছেলে বেপরোয়াভাবে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনার সূত্র ধরে বড় ধরনের বেকায়দায় পড়েছে হাজী সেলিম পরিবার। বর্তমান সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারাও হাজী সেলিমের দীর্ঘদিনের নানা সমালোচিত কর্মকাণ্ডে বিব্রত। সে কারণেই হাজী সেলিম ও তার পরিবারের আদ্যোপান্ত টানা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে বেধড়ক মারধর করে হাজী সেলিমের ছেলে ডিএসসিসির কাউন্সিলর (বরখাস্তকৃত) ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানায় তাকে হত্যাচেষ্টার মামলা করলে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ইরফান ও তার সহযোগী আসামিদের গ্রেফতার করে। মূলত এ ঘটনার সূত্র ধরে হাজী সেলিম পরিবারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ‘অ্যাকশন’ শুরু হয়। গত ২৬ অক্টোবর র‌্যাব পুরান ঢাকার চকবাজারের ২৬ দেবীদাস লেনে হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় বাসায় অবৈধ মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন।

হাজি সেলিম পরিবারের অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক

আপডেট সময় : ০১:১৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের সূত্র ধরে এবার ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মো. সেলিম ও তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নামতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, হাজী সেলিম ও ইরফান সেলিমের সম্পদের প্রাথমিক তথ্য নেওয়া হচ্ছে। শিডিউলভুক্ত অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার আরও জানান, হাজী সেলিম এবং তার ছেলে ইরফান সেলিমের বিষয়ে আমরা বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ দেখেছি। বিষয়গুলো আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বলেও লক্ষ করা যায়। তবে অবৈধ সম্পদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না তা পরিষ্কার নয়। অবৈধ সম্পদের বিষয়গুলো যদি দুদকের শিডিউলের সঙ্গে সম্পর্কিত হয় এবং শিডিউলভুক্ত অপরাধের শামিল হয়, তাহলে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব এবং দুদকের আইন অনুসারে পরবর্তী সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি সরকারের জায়গা বা সম্পত্তি যদি দখল হয় এবং তা দুদক আইনের আওতাভুক্ত হলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইরফানের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তের দায়িত্ব যাচ্ছে ডিবির হাতে

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, হাজী সেলিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে পুরান ঢাকার বেশকিছু এলাকায় সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি, ভবন ও মার্কেট দখলের অভিযোগ রয়েছে। ইতঃপূর্বে এসব নিয়ে কথা উঠলেও প্রভাবশালী হওয়ায় কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। তবে এবার হাজী সেলিমের ছেলে বেপরোয়াভাবে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনার সূত্র ধরে বড় ধরনের বেকায়দায় পড়েছে হাজী সেলিম পরিবার। বর্তমান সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারাও হাজী সেলিমের দীর্ঘদিনের নানা সমালোচিত কর্মকাণ্ডে বিব্রত। সে কারণেই হাজী সেলিম ও তার পরিবারের আদ্যোপান্ত টানা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে বেধড়ক মারধর করে হাজী সেলিমের ছেলে ডিএসসিসির কাউন্সিলর (বরখাস্তকৃত) ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানায় তাকে হত্যাচেষ্টার মামলা করলে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ইরফান ও তার সহযোগী আসামিদের গ্রেফতার করে। মূলত এ ঘটনার সূত্র ধরে হাজী সেলিম পরিবারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ‘অ্যাকশন’ শুরু হয়। গত ২৬ অক্টোবর র‌্যাব পুরান ঢাকার চকবাজারের ২৬ দেবীদাস লেনে হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় বাসায় অবৈধ মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন।