নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় থানার ওসি, সার্কেল এএসপি এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারের গাফিলতি পেয়েছে হাইকোর্ট গঠিত তদন্ত কমিটি। নির্যাতিতার স্বামীর জড়িত থাকারও প্রমাণ মিলেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূ নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দ্রুত অ্যাকশন নেয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে একে একে ধরা হয় অভিযুক্তদের।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) এ ঘটনায় রিপোর্ট দেয় হাইকোর্টের গঠিত তদন্ত কমিটি। নির্যাতনে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আরেক উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার গাফিলতি পেয়েছে কমিটি। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যও দায় এড়াতে পারে না।
আরো পড়ুন: নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র নির্যাতন: আদালতে কালামের স্বীকারোক্তি
তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করেছে কমিটি। নির্যাতিতার চরিত্র হননের বিষয়ে কমিটির মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র।
আলোচিত এ মামলায় মূলহোতা দেলোয়ার, ইউপি মেম্বারসহ ১০ জন কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র নির্যাতন: আরও তিন আসামি রিমান্ডে
গত ২ সেপ্টেম্বর একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ওই গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তাকে কুপ্রস্তাব দেয়, রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনার পর ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলায় তথা দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।