কৃষক বিদ্রোহ সামলাতে বৈঠকে মোদি সরকার।পাঞ্জাব-সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল শুক্রবার কৃষক সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর এবং পীযূষ গয়াল। এ নিয়ে গত দু’মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার ঐক্যে পৌঁছাতে বৈঠক ডাকল কেন্দ্র।
গতকাল নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে দেশের বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের অন্তত ৪০ জন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি সরকারের মন্ত্রীরা।
বৈঠকের পূর্বশর্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী তোমর এবং রেল, খাদ্য তথা উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী গয়াল।
এর আগেও কৃষক বিক্ষোভ কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ১৪ অক্টোবর কৃষি সচিব সঞ্জয় আগরওয়ালের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি।
ভারতের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বন্ধ করতে রাজি হননি কৃষক নেতারা। এর পর বৈঠকে আমলার বদলে মোদি সরকারের মন্ত্রীদের উপস্থিতির দাবি জানিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলো।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তিনটি কৃষি বিল সংশোধন করে আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে এর বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিশেষ করে পাঞ্জাবে সেই বিক্ষোভের আগুন তীব্র হতে থাকে। রাস্তা অবরোধ, রেল রোকো-আন্দোলনের মাধ্যমে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিবাদ জানায় কৃষক সংগঠনগুলো।
তাদের অভিযোগ, নতুন আইনের ফলে ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষকরা। ফসল নিয়ে তাদের দরাদরির ক্ষমতা কমে যাবে, প্রচলিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হবেন তারা।
পাশাপাশি, বেসরকারি এবং বড় সংস্থাগুলোর কাছে কৃষিপণ্য মজুত রাখার রাস্তা খুলে যাবে। যদিও মোদি সরকারের পাল্টা দাবি, নতুন কৃষি আইনে কোনো ভাবেই কৃষকরা বঞ্চনার শিকার হবে না। তবে কৃষকরা সরকারের এই যুক্তি মানতে রাজি হচ্ছে না। তাদের দাবি, এমএসপি ব্যবস্থাকে আইনে পরিণত করুক সরকার।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
আরো পড়ুন
হামে বিশ্বে ৫০ শতাংশ মৃত্যু বেড়েছে, আক্রান্তও বেশি
রিপাবলিকান নেতারা গণতন্ত্রকে ছোট করছে: ওবামা
মাছে করোনা, ভারতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ চীনে
লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, ৭৪ শরণার্থীর মৃত্যু
‘উলফা’ নেতার ঘনিষ্ট সহযোগী রাজখোয়ার আত্মসমর্পণ
সৌদি আরবে বোমা হামলা,বেশ কয়েকজন আহত
চীনের অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত, ক্ষতি হচ্ছে মানুষের ‘স্পর্শকাতর অঙ্গ’