১৯৮৯ তে শচীনের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। নিজের প্রথম টেস্ট যেদিন খেলতে নামে সেদিন ১৫ নভেম্বর ১৯৮৯! ম্যাচ টি ড্র হয় এবং এক ইনিংস ব্যাটিং করতে পেয়ে শচীন টেন্ডুলকার রান করে মাত্র ১৫ রান, আউট হন ওয়াকার ইউনুসের বলে।
একই ম্যাচে অভিষেক হয় ওয়াকার ইউনুসেরও।
২য় ম্যাচও ড্র হয় যেখানে প্রথম ইনিংসে ৫৯ রান করেন শচীন ও ২য় ইনিংসে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। সিরিজের ৩য় টেস্টও ড্র হয় যেখানে ১ ইনিংসে ৪১ রান করেন তিনি। শেষ ম্যাচেও ড্র হয় যেখানে প্রথম ইনিংসে ৩৫ ও ২য় ইনিংসে ৫৭ রান করেন তিনি।
পরের বছর ইংল্যান্ডের মাটিতে ২য় টেস্টে তুলে নেয় নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। তবে সেটা অবশ্যই তার ওই ১০০ সেঞ্চুরির মধ্যে অন্যতম সেরা। প্রথম ইনিংসে করে ৬৮ রান। দলের ২য় ও ম্যাচের ৪র্থ ইনিংসে ৪০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১২৭ রানে তখন দল ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে।
তখন সেখান থেকে প্রবাকর কে নিয়ে ১৬০ রানের পার্টনারশিপ করে দল কে নিশ্চিত হার থেকে বাঁচিয়ে দেয় ও তুলে নেয় নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। ১১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি ও হাতে পায় ম্যাচ সেরার পুরষ্কার। এই সেঞ্চুরি টি ধরা হয় তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৯ম সেরা ইনিংস।
চলুন দেখি তার টেস্টের সেরা ৩ ইনিংস:-
@৩ – অ্যালান ডোনাল্ড ও শন পোলকের পিক টাইমে তাদের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে ১৬৯ রান করে যা তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস।
@২ – ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের মাঠে ৩৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার এই অবিশ্বাস্য ব্যাটিং এ নিশ্চিত হারের ম্যাচে জয় পায় ভারত।
@১ – পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চেন্নাইতে ১৩৬ তার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস বলেই গন্য হয়। হবে নাই বা কেন? ২৭১ রানের টার্গেটে যখন ভারত ব্যাটিং নামে তখন ওয়াকার, ওয়াসিম, সাকলাইনের সামনে অসম্ভবই।
শচীনের ব্যাটে সেটা সম্ভব মনে হচ্ছিল তবে লক্ষ্য থেকে ১৭ রান দূরে। যখন তিনি আউট হয় তারপর ভারত ১২ রানে ম্যাচ হেরে যায়।
ভারত হারলেও তার এই অসাধারণ লড়াইয়ের জন্য এই ম্যাচ টা অন্যতম সেরা ইনিংস হিসেবে বিবেচিত হয়।
টেস্ট ক্রিকেট শচীন টেন্ডুলকার এর পরিসংখ্যান:-
ম্যাচ – ২০০
ইনিংস – ৩২৯
রান – ১৫৯২১
এভারেজ – ৫৩.৭৮
সেঞ্চুরি – ৫১
হাফ সেঞ্চুরি – ৬৮