অনলাইন ব্যবহারকারী ৭৩ শতাংশ নারী হয়রানীর শিকার হন বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। সাইবার স্পেসে এমন ভুক্তভোগী নারীদের সহায়তায় গঠিত ইউনিটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনে হওয়া ৭ হাজার মামলার বেশীরভাগেরই ভুক্তভোগী নারী। এছাড়া অনলাইন ব্যবহারকারী ৭৩ শতাংশ নারী হয়রানীর শিকার হন । সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশের অন্তত ৫টি ইউনিট থাকলেও পুরুষ সদস্য দিয়ে পরিচালিত হওয়ায় সেগুলোতে যান না নারীরা।
মাস্ক পরা নিশ্চিতে ঢাকায় নামছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
ব্যারিস্টার মিতি সানজানা বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনায় নারীদের এত বেশি অপমান করা হয় যে ভুক্তভোগীরা প্রতিকার চাইতে যেতেও ভয় পান।’
এ বাস্তবতায়, শুধু নারী পুলিশ সদস্যদের পরিচালনায় ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ নামে নতুন ইউনিট গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘সাইবার অপরাধ দমন এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে যে সব মামলা হয়েছে তার অধিকাংশতেই দেখা যায় ভিক্টিম নারী।’
ফেসবুক পেজ, ই-মেইল, হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে ভুক্তভোগী নারীরা এই ইউনিটের সেবা নিতে পারবেন।
বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় একটি কল রেকর্ড পেয়েছি: মো. মনিরুল ইসলাম
বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় একটি কল রেকর্ড পেয়েছি।ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে হঠাৎ বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় একটি কল রেকর্ড পেয়েছি। সেটি বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। যাঁরা কথা বলেছেন, তাঁদের পরিচয় জানতে কাজ করা হচ্ছে। তবে এই কল রেকর্ড মামলা প্রমাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইভিডেন্স হিসেবে কাজ করবে। কল রেকর্ড আর আগুনের ঘটনার সঙ্গে কথোপকথনের মিল রয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গতকালের ঘটনার সঙ্গে ২০১৪-১৫ সালের ঘটনাগুলোর মিল রয়েছে। তবে কারা আগুন দিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। ছয় বছর আগের ওই সময়ে আগুন দেওয়ার ঘটনাগুলোতে মানুষ যেমন আতঙ্কগ্রস্ত ছিল, একইভাবে গতকালও হঠাৎ বাসে আগুনের ঘটনায় নগরবাসী আতঙ্কিত হয়েছে। এটি হওয়ারই কথা। পুলিশও হতবাক হয়েছে হঠাৎ এতগুলো বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায়। আমরা কাজ করছি, যারা এসব ঘটনায় জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে।