জেলা প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় রাতভর নির্যাতনের পর কনিকা খাতুন(২৫) নামের এক মহিলা কে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোর আনুমানিক ৪টার সময় উপজেলার আওশিয়া গ্রামের জাকির হোসেন নামের এক ব্যাক্তির বাড়িতে গলাকাটা আহত অবস্থায় একজন মহিলা উঠে জাকিরের বাড়ি আশ্রয় নেয়।
জাকির ঐ মহিলাকে গলায় রক্তাক্ত ওড়না পেচানো অবস্থায় দেখতে পায়। সে কোনো কথা বলতে পারছিলনা। আহত মহিলা গবিন্দ পুর গ্রামের সহিদ মন্ডলের কন্যা। পরে থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে রেফার্ড করে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার চিকিৎসা চলছিল। আহত মহিলার মা রাহেলা বেগম জানান তার মেয়ে নিকা খাতুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চন্ডিখালি গ্রামের মৃত শাহাদত হোসেনের পুত্র হুসাইনের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলত। পরে তার সাথে পরিচয় থেকে প্রেম প্রেম হয়। সে গত ১৪ তারিখে তার বোনের বাড়ি হরিহরা গ্রামে বেড়াইতে যায়।
ঝিনাইদহে ৭দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯! প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে হুসাইন তাকে বাড়ী থেকে বিভিন্ন জায়গাতে বেড়াতে নিয়ে যেত। বুধবার সকালে তারা ফোনের মাধ্যমে জানতে পারে তার মেয়ে কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। গতকাল এশার আজানের সময় উক্ত মহিলার দুলাভাই হরিহরা গ্রামের রাব্বুলের বাড়ী থেকে তাকে আউশিয়া গ্রামে নিয়ে যায় হুসাইন। পরে সকালে তারা জানতে পারে যে ঐ মহিলাকে পুলিশ আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।
তার গলায় থাকা স্বর্নের চেইন ও কানের দুল পাওয়া যায়নি। হুসাইন আউশিয়া গ্রামের আব্দুল গফুরের জামাতা এবং ঐদিন রাতে সে শ্বশুর বাড়ীতেই অবস্থান করছিল। সকালে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে সে শ্রীপুর উপজেলার চন্ডিখালি গ্রামে নিজ বাড়িতে চলে যায়। তবে তার বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে পাওয়া গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শৈলকুপা থানার ওসি তদন্ত মোহসিন হোসেন জানান থানায় অভিযোগ আসলে মামলা নেয় হবে। পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনা স্থল থেকে একটি রক্তমাখা চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।