অনলাইন ডেস্ক:
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ২টি ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে, ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ককটেল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। কার্যালয়ের নিচতলায় ১টি ককটেল বোমা ও পরে দ্বিতীয় তলায় আরেকটি ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে বিকট শব্দে ককটেল বোমা দুটি বিস্ফোরিত হয়। এসময় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও আশাপাশ এলাকা ধোঁয়াচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে, সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে পৌরসভার আর্টগ্যালারি এলাকার নৌকা প্রতীকের নির্বাচনে অফিসে আগুন দেয়া হয়। এতে এলাকার ভোটার মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার গভীর রাতে পৌরসভার আর্টগ্যালারি এলাকার নৌকা প্রতীকের নির্বাচনে অফিসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভির এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা বলেন, নির্বাচনি অফিসে আগুন ও দলীয় কার্যালয়ে ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ করার ঘটনায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফ ও তার সমর্থকরা জড়িত থাকতে পারে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের নেতাকর্মীদের দ্বারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং সে দোষ আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগ অফিস ও আর্টগ্যালারি এলাকায় পুড়ে যাওয়া নৌকা প্রতীকের অফিস পরির্দশন করেছি। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফ ও ইসলামী বাংলাদেশের মনোনিত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।