এবার চলন্ত ট্রেনেও ছিনতাইকারীর হাত থেকে রক্ষা পায়নি এক মা
পূর্ণিমা হোসাইন, ভৈরব প্রতিণিধি:
ভৈরবে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত নিতাই চন্দ্র সাহার ঘটনার বেশি দিন যেতে না যেতেই এবার ছিনতাইকারীর কবলে পরে চলন্ত ট্রেন থেকে পরে যায় এক মা আর ট্রেনের ভিতরে রয়ে যায় ৬-৭ বছরের শিশু।
ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে ঘটে।জানা যায়, ভৈরব স্টেশন থেকে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম-ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনে উঠে। সিট না থাকায় দরজার পাশে ছোট শিশুকে নিয়ে দাড়িয়ে থাকে। রাত পৌঁনে ৯ টার সময় যখন ট্রেনটি ছাড়লো ছিনতাইকারী তার ব্যাগ টান দিলে এক পর্যায়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পরে যায় শিশুটির মা আর শিশুটি ট্রেনে একা রয়ে।
স্টেশন থেকে ১০০ গজ দূরে রেললাইনের পাশে মহিলাটি অচেতন অবস্থায় পরে থাকে।
ট্রেনের ভিতরে থাকা জনগন ট্রেনটি থামাতে চেষ্টা করলেও ট্রেনটি থামানো যায়নি পরে বিমানবন্দর স্টেশনে গিয়ে জনগন বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশের হাতে বাচ্চাটিকে হস্তান্তর করে। শিশুটি পুলিশকে জানায় তার নাম মেরাজ এবং তার বাবার নাম মিলন মিয়া।বাড়ি ব্রাহ্মণবসড়িয়া জেলার আখাউরা উপজেলায়।
আর এই দিকে চলন্ত ট্রেন থেকে পরে যাওয়া শিশুটির মাকে অজ্ঞান অবস্থায় চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় ভৈরবের স্থানীয় লোকজন।
চিকিৎসক ইমার্জেম্সি চিকিৎসা দেয়। জ্ঞান না ফেরায় রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় কর্তব্যরত চিকিৎসক। মহিলাটির পরিচয় না পাওয়ার ভৈরব থেকে ২ জন ঢাকায় নিয়ে যায় মহিলাটিকে।
চিকিৎসক জানায়, মাথার পিছনের দিক দিয়ে বেশি জখম হওয়ার কারনে রক্ত বন্ধ হচ্ছে না তাই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। পরে ভৈরবের স্থানীয় ২ জন মহিলাকে ঢাকায় নিয়ে যায়।
এই দিকে অনলাইনে প্রচারের পর শিশু এবং মহিলার পরিবার বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশের কাছ থেকে শিশুটিকে নিয়ে আসে। এবং মহিলার নাম জানায় সাবিনা ইয়াসমিন। রাতেই সাবিনার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে পৌঁছে যায়।
ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়ার পরও সাবিনার জ্ঞান ফেরেনি চিকিৎসক জানায় সিটিস্কেনে দেখা গেছে জখমটি অনেকটুকু ক্ষত হয়ে গেছে তাই সাবিনার এখনো জ্ঞান ফেরেনি।
এইদিকে ছিনতাইকারীদের একটার পর একটা ঘটনা দেখে আতংকে রেয়েছে ভৈরববাসী।রাতেই অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করেছে ভৈরব রেলওয়ে থামা পুলিশ।