জেলা প্রতিনিধিঃ
চুয়াডাঙ্গায় পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় মজিবার রহমান (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। তার চাচাতো ভাই খোকন আলীকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আননাস আলী নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত মজিবার রহমান নতিপোতা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত শমসের আলীর ছেলে। খোকন একই গ্রামের আনসার আলীর ছেল। তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত খোকন আলী বলেন, বছর খানেক ধরে নতিপোতা গ্রামের বসতিপাড়ার সৌদি প্রবাসী ছালামিন আলীর স্ত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মজিবরের ছেলে জিনারুলের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে অলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর এলাকার একটি দোকানে জিনারুলের সঙ্গে আমার বাগবিতণ্ডা হয়। পরে আমাকে হুমকি-ধমকি দেয় সে। এ সময় আমার চাচাতো ভাই মজিবারও ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফেরার সময় দক্ষিণপাড়া মসজিদের সামনে থেকে মজিবরের ছেলে জিনারুল আমাকে ও আমার চাচাতো ভাই মজিবারকে পিস্তল দেখিয়ে জোরপূর্বক ধরে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
এ সময় জিনারুলের বাবা মজিবর ও তার দুই ভাই জিল্লু ও মিনারুল, দুলালের ছেলে রাজা ও কালিয়াবকরী গ্রামের মৃত পাথারের ছেলে মিজারসহ বেশ কয়েকজন আমাদের দুজনকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে জিনারুল ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মজিবারের মাথায় কোপ দলে গুরুতর জখম হয় মজিবার। পুলিশ আসতে দেখে আমাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে মজিবার ও আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয় স্বজনরা। এ ঘটনায় আমরা মামলা করবো।
খোকন বলেন, নতিপোতা গ্রামের জিনারুল ইসলাম ও তার ফুফাতো ভাই মিজার পুলিশের তালিকাভুক্ত কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তাদের কাছে পিস্তল ও শর্টগানসহ ভারী অস্ত্র আছে। তাদের নামে দামুড়হুদা মডেল থানা, মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাকিল আর সালান জানান, মজিবারের মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে জখম করা হয়েছে। এখনি শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। তার মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। সিটি স্ক্যানের পর তিনি শঙ্কামুক্ত কি-না বোঝা যাবে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ভগিরথপুর ক্যাম্প পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আননাস আলীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এ নিয়ে এখনও থানায় এসে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।