কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে ১৯ মিনিটের জাদুকরী ভাষণ বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল, সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ৫০ বছর পূর্ণ হলো আজ।
তারিধারাবাহিকতায় সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় সাথে পালিন করেছে। কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা।
এ সময় পুলিশে অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন, পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতির পিতার আত্মার শান্তি এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালির জাতীয়তাবোধ জাগরণের মহাকাব্য, বাঙালি তথা বিশ্বের সব লাঞ্ছিত-বঞ্চিত, নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির সনদ। ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার প্রেরণা।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য দলিল এবং বিশ্বে সর্বাধিকবার প্রচারিত ও শ্রবণকৃত ভাষণ। লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ।
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।থ সেই ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল স্বাধীনতার সংগ্রামের মূল মন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।
উল্লেখ্য, জেলা পুলিশ কুড়িগ্রামের আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চুড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে ‘‘আনন্দ উদযাপন জেলা পুলিশের অফিসিয়াল পেইজে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।