কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
দূর্বৃত্তের হামলা ও ধারালো অস্ত্রের কোপে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও কলেজ শিক্ষক আতাউর রহমান মিন্টুর এক হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অপর হাত ও দুই পা গুরুতর জখম হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুর তিনটার দিকে রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের পালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আতাউর রহমান মিন্টু ফুলবাড়ীর বড়ভিটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের ছেলে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আলীর আপন ভাগিনা বলে জানা গেছে। তিনি মজিদা আদর্শ মহাবিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা সবাই জেলা সদরের কাঁঠালবাড়ীর বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছি। তাদের হামলায় ভুক্তভোগীর এক হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে আমাদের সদস্যরা সেখানে ভিকটিমের শরীরের কোনও অঙ্গ পায়নি। ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে রংপুর মেডিক্যালে নেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি।
ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।গুরুতর আহত মিন্টুকে নিয়ে রংপুর মেডিক্যালে যাওয়া রাজু জানান, মিন্টুর ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তার বাম হাত ও দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন প্রায়।
চিকিৎসা শুরু হয়েছে, তবে চিকিৎসকরা এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয় জন দুর্বৃত্ত মিন্টুকে অনুসরণ করে ছিনাই এলাকায় তার পথরোধ করে। পরে দেশীয় অস্ত্রসহ তার ওপর হামলা চালানো হয়। দুর্বৃত্তরা উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। মিন্টু এক হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
অপর হাত ও পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পরে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এদিকে ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতার ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে কাঁঠালবাড়ী ও কুড়িগ্রাম জেলা শহরের শাপলা চত্বরে সড়ক অবরোধ করেছে ছাত্রলীগের বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় সড়ক জুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।