আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) গত কয়েকমাস ধরে আশঙ্কাজনক হারে মৃত্যু ও আক্রান্ত বাড়ছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যু রেকর্ড হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। এইরমধ্যে ভয়াবহ এই ভাইরাসে মোট মৃত্যু ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে।
লন্ডন ভিত্তিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ২০ লাখ ছাড়াতে সময় লেগেছিল এক বছরেরও বেশি। সেখানে পরের ১০ লাখ প্রাণহানি হয়েছে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে।
করোনার প্রকোপ বাড়ছে গোটা বিশ্বেই। তবে ব্রাজিল ও ভারতের মতো দেশগুলোতে রীতিমতো এর বিস্ফোরণ ঘটেছে। দৈনিক গড় মৃত্যুতে সবার ওপরে রয়েছে লাতিন আমেরিকার এই দেশটি। প্রতিদিন বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ করোনাজনিত মৃত্যু হচ্ছে ব্রাজিলে।
অপরদিকে গত সোমবার করোনা সংক্রমণে নিজেদের পুরোনো সব রেকর্ড গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে একদিনে এক লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে সেখানে।
এদিকে বাংলাদেশে প্রতিদিন করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্ত হু হু করে বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৬৬ জনের। একইসময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২১৩ জন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৯ জন ও নারী ২৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৩৮৪ জন।
রয়টার্সের পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপীয় অঞ্চলের ৫১টি দেশে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (প্রায় ১১ লাখ) করোনাজনিত প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানি- এই পাঁচটি দেশেই ঘটেছে ইউরোপের ৬০ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনা।
একক দেশ হিসেবে বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রাণহানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটি এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৫৫ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছেন, যা বিশ্বে মোট মৃত্যুর প্রায় ১৯ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে গত তিন সপ্তাহ ধরে দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, তবে টিকাগ্রহণের কারণে সেখানে মৃত্যুর হার কিছুটা কমে এসেছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।