বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে। এরপরই করোনায় সংক্রমিত হলেন খালেদা জিয়া।
জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ স্বজনদের ধারণা, শিমুল বিশ্বাসের কারণেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
তারা মনে করেন, গত বছরের ২৫ মার্চ সরকারের মহানুভবতায় কারামুক্তির পর থেকে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’তে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া। সেখানে শুরু থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পছন্দের নেতাকর্মীরা দেখা-সাক্ষাৎ করে আসছিলেন। শিমুল বিশ্বাসও তাদের একজন। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফিরোজা’তে আসা যাওয়া করেন তিনি। এ পরিস্থিতিতে শিমুল বিশ্বাসের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিএনপি নেত্রী।
সূত্রে জানা গেছে, খালেদা তার গৃহকর্মী ফাতেমাকে বলেন, শিমুলের যেহেতু হয়েছে তারও করোনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ সে ‘ফিরোজা’তে প্রায়ই যাওয়া-আসা করেছে। তাই পরীক্ষা করার আগ পর্যন্ত তার কাছে যেন কেউই না আসে।
খালেদার পারিবারিক সূত্রেও জানা গেছে, খালেদা তার গৃহকর্মী ফাতেমাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন পরীক্ষা করার আগ পর্যন্ত যেন কেউ তার সংস্পর্শে না আসে। পরিবারের বাকিদেরও একই কথা বলেছিলেন তিনি। সেই সন্দেহই বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা জানান, ম্যাডামের কিছু অসচেতনতা আমার চোখে পড়ার পর আমি তাকে সচেতন করেছিলাম। কিন্তু ম্যাডাম আমার কথা না শোনে একাধিকবার পছন্দের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গত সপ্তাহেও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সাক্ষাতের পরই ম্যাডাম অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ও নিয়ম ভঙ্গ করে খালেদা জিয়া তার পছন্দের নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সৌজন্য সাক্ষাতের নামে রাজনৈতিক বৈঠক করেছেন। এখন করোনার ভয় করে কী লাভ হবে?