জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার বড় বাজারের ভেতরে পা রেখেই গতকাল মনে হয়েছিল আজ বুধবার বুঝি ঈদুল ফিতর। চাঁদরাতে যেমন প্রতিটি দোকানে, অলিগলিতে ভিড় লেগে থাকে ঠিক তেমন চিত্র। ভিড় রয়েছে বাজারের বাইরে মূল সড়কের পাশের দোকানগুলোতেও।
বাজারে এক মুদি দোকানে ফর্দ মিলিয়ে ব্যাগে পণ্য ভরছিলেন ক্রেতা আলাউদ্দিন। চাল, ডাল, তেল, চিনি, ছোলা কোনো কিছুই যেন বাদ যায়নি। জানতে চাইলে বললেন, ‘রোজায় কিছুটা বাড়তি পণ্য লাগে। তার ওপর কাল শুরু হচ্ছে লকডাউন। বাজারের কী অবস্থা হয় বোঝা যাচ্ছে না।’
তাঁর মতোই লম্বা ফর্দ নিয়ে আরো সাত-আটজন ক্রেতা দোকানের সামনে দাঁড়ানো। জেলার বড় বাজার পুরাতন গলি, নিউ মার্কেট, প্রিন্স প্লাজা, আব্দুল্লা সিটিতে গতকাল ছিল একই অবস্থা। দিনভর হুলুস্থুল কেনাকাটা চলেছে। পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতেও ছিল একই অবস্থা।
আজ বুধবার শুরু হওয়া আট দিনব্যাপী লকডাউনে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের বাজারে তেমন বিধি-নিষেধ দেওয়া হয়নি। শুধু সময় কমিয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
বিক্রেতারা জানান, এখন যেভাবে দোকান সাজানো হয়েছে কালও (আজ) সেভাবেই সাজানো যাবে। দূরত্বের বিষয়েও তেমন কোনো বাড়তি নির্দেশনা দেওয়া হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে।
রমজান আর লকডাউনের কারণে হঠাৎ বাড়তি কেনাকাটার চাপে পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। মাছ, মাংস, সবজি, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়তি দেখা গেছে প্রায় সব বাজারেই।
দামের ক্ষেত্রে সরকারের বেঁধে দেওয়া সীমা মানছেন না বিক্রেতারা। অথচ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে ও বাজার ঘুরে পণ্য সরবরাহে কোনো ঘাটতি দেখা যায়নি।