হবিগঞ্জের বৃন্দাবন চা-বাগানে উৎপাদন হচ্ছে ‘ইয়েলো টি’ বা হলুদ চা। বিশ্বের আরও দুটি দেশে এই চা উৎপাদন হলেও বাংলাদেশে উৎপাদিত হলুদ চায়ের দাম সর্বোচ্চ। দেশের চা শিল্পে এটি একটি বিপ্লব বলে মনে করছেন গবেষকরা।
চা গাছে মৌসুমের প্রথম একটি কুঁড়ি এবং একটি পাতা দিয়ে ইয়েলো টি বা হলুদ চা উৎপাদন করা হয়। আর দেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ইয়েলো টি উৎপাদন করছে বৃন্দাবন চা বাগান। সাধারণ চা থেকে এই চা পরিবেশনে রয়েছে ভিন্নতা। স্বাদ-গন্ধে সুস্বাদু।
করোনা পরিস্থিতিতে চায়ের বাজার চাঙা করতে নতুন নতুন চা উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান হলুদ চায়ের উদ্ভাবক মো. নাসির উদ্দিন খান।
হবিগঞ্জের বৃন্দাবন চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. নাসির উদ্দিন খান বলেন, ইয়েলো টি বাংলাদেশে আর কেউ করেনি আমিই প্রথম করছি। বিশ্বের যে তিনটি দেশ ইয়েলো টি উৎপাদন করছে তার মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয় পজিশনে আছে। দামের দিক থেকে অন্য দুটি দেশের তুলনায় আমিই সর্বোচ্চ মূল্য পেয়েছি।
বৃন্দাবন চা বাগান ইয়েলো টি উৎপাদনের মাধ্যমে চায়ের জগতে দেশে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন চা গবেষক মাহমুদ হাসান প্রিন্স।
তিনি জানান, এটা চায়ের জন্য নতুন একটা বৈপ্লবিক সূচনা। এই ধারাটা যদি অব্যাহত থাকে বাংলাদেশের চা সারা বিশ্বে ধীরে ধীরে সুনাম কুড়াবে।
চীন, কোরিয়ার পর ইয়েলো টি উৎপাদন করে বিশ্ব বাজারে নতুন নাম লেখাল বাংলাদেশ।