বাইরের দেশ থেকে আমদানি করা ফলগুলো মধ্যে ড্রাগন ফল অন্যতম। তবে এ ফল এখন বাংলাদেশেই আবাদ হয়। এই ফল খেলে আপনার স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক চিন্তা দূর হবে। ত্বকের উজ্জ্বল রঙ থেকে শুরু করে চুল পড়া রোধে কার্যকরী ড্রাগন ফল।
ড্রাগন ফল রেড পিটায়া, স্ট্রবেরি পিয়ার, কনডেরেলা প্ল্যান্ট ইত্যাদি নামেও পরিচিত। এটি দক্ষিণ আমেরিকার আদিবাসীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটা ফল। তবে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড এবং চীনেও এই ফল পাওয়া যায় এবং সেখানেও বেশ প্রিয় ফল এটি।
একটি ড্রাগন ফলে ৬০ ক্যালরি এবং প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৯ থাকে। এই ফলে বিটা ক্যারোটিন ও লাইকোপিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও রয়েছে। বিটা ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়ে ত্বক, চোখ ও ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি করে।
নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে চুলপড়া কমতে পারে। কারণ অনেক সময় আয়রন ঘাটতির কারণে চুলপড়া সমস্যাও হতে পারে। ড্রাগন ফলে প্রচুর প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান থাকে। বিশেষ করে হাড়ের জন্য দরকারি পটাশিয়াম আর ক্যালসিয়ামের দারুণ উৎস এটি। শরীরের স্নায়ুতন্ত্র ঠিক রাখতেও এর ভূমিকা রয়েছে।
নিউইয়র্ক সিটির আইকান স্কুল অব মেডিসিনের ডার্মাটোলজি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্লিনিক্যাল প্রফেসর গ্যারি গোল্ডেনবার্গের মতে, এই ফল আয়রন ঘাটতি জনিত রক্তস্বল্পতার অন্যান্য উপসর্গও প্রশমিত করতে পারে, যেমন- অত্যধিক ক্লান্তি, ত্বকের বিবর্ণতা, মনোনিবেশে সমস্যা, মাথাব্যথা ও হাত-পায়ে ঠাণ্ডা অনুভূতি।
প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে ৩ গ্রাম আঁশ থাকে যা দৈনিক চাহিদার ১২ শতাংশ। ড্রাগন ফলের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে। এই ফলের কালো বীজে থাকে ল্যাক্সেটিভ ও পলিআনস্যাচুরেইটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা হজমে সাহায্য করে ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের সহায়ক।
ড্রাগন ফলের দাম বেশি হলেও এর স্বাস্থ্য উপকারিতা কিন্তু চমকে ওঠার মতো। তাই কম করে হলেও নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করা প্রয়োজন।