চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি কারাগারে
জেলা প্রতিনিধিঃ বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় কমিটির শূরা সদস্য রুহুল আমিনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
রোববার দুপুরে জামিন শুনানি শেষে পুলিশ প্রহরায় রুহুল আমিনকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৯ মার্চ রাতে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রের অনিষ্ট সাধন ও অন্তর্ঘাত কর্মকাণ্ডে একত্রিত হচ্ছে এ সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ চুয়াডাঙ্গা কবরী রোডে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত কয়েকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করে পুলিশ।
আটক শরীফ হাসানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার গুলশানপাড়ার বাড়িতে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় পুলিশ রাষ্ট্রবিরোধী ও উস্কানিমূলক কিছু বই উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একই দিন রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/২৫-ডি ধারায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় কমিটির শূরা সদস্য রুহুল আমিন ও চুয়াডাঙ্গা জামায়াতের পৌর আমির মাসুদ পারভেজ রাসেল উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। রোববার তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। রুহুল আমিন ও মাসুদ পারভেজ রাসেল চুয়াডাঙ্গা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের আদালতে জামিনের আবেদন করেন।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জামিন শুনানি শেষে রুহুল আমিনের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। আর মাসুদ পারভেজ রাসেলের জামিন মঞ্জুর করেন। পুলিশ প্রহরায় রুহুল আমিনকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ মামলায় পুলিশ শরীফ হাসান, জব্বারুল ইসলাম ও এমডিকে সুলতানকে গ্রেফতার করে। তারা জেলহাজতে রয়েছেন।