জেলা প্রতনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থান গ্রহন করেছে পুলিশ প্রশাসন। সকাল থেকেই পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অধিকাংশ সড়কেই বাঁশ বেধে বেরিকেড দেয়া হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে একদল চৌকস পুলিশ মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল থেকেই ১৪ দিনের লকডাউন বাস্তবায়নে লাঠি হাতে কঠোর অবস্থান গ্রহন করতে দেখা গেছে।
পুলিশের পাশাপাশি বেলা বাড়ার সাথে সাথে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) সুদীপ্ত কুমার সিংহকে মাঠে নামতে দেখা গেছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি ও বিস্তার প্রতিরোধের লক্ষ্যে জারী করা হয়েছে ৬ নির্দেশনা। আগামী ১৪ দিন পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তায়নে জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বিধি নিষেধ মেনে চলতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টনের নেতৃত্বে উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি সড়কে বাঁশের ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সস্প্রতি এলাকার চুল ব্যবসায়ী এবং কিছু চোরাকারবারী ভারতের কাঁটাতার পেরিয়ে অবৈধপথে দেশে প্রবেশ করায় ভারত সীমান্ত ঘ্যাসা দামুড়হুদা উপজেলায় করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে যায়। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত সোমবার অনুষ্ঠিত হয় জরুরী সভা।
সভায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি ও বিস্তার প্রতিরোধের লক্ষ্যে গঠিত চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে দামুড়হুদা উপজেলায় ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষনা করেন করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।