ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল

অবশেষে সমঝোতায় সকল দ্বন্দ্বের অবসান

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৮:৪০:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১
  • / ১০২৭ বার পড়া হয়েছে

আমির হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ অবশেষে সমঝোতায় সকল দ্বন্দ্বের অবসান হলো। বিসিসি মেয়র এবং জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টিকে ভুল বুঝাবুঝি বলে উভয় গ্রুপ মেনে নেয়ার পর সকলের মুখে হাসি ফোটে। তবে ওই সমঝোতা বৈঠকে ইউএনও মুনিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।

রবিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পযন্ত বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনে এ সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেই ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। আর যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর জানান, বরিশালের সাম্প্রতিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়। পুরো বিষয়টি ইতিবাচক ছিলো। তবে বৃহত্তর স্বার্থে বৈঠকের খুটিনাটি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। বৈঠকে সকল পক্ষের মামলা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল ইসলাম বাদল, ডিআইজি আক্তারুজ্জামান, পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার, পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সরকারি কৌশলী একেএম জাহাঙ্গীরসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে ইউএনও মুনিবুর রহমান বলেন, আমাকে বৈঠকে ডাকেনি। তবে সেখানে আমার উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা আমারও সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত, ১৮ আগস্ট রাতে ইউএনও’র বাস ভবনে হামলা ও পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।

ওই ঘটনায় ইউএনও ও পুলিশের পক্ষ থেকে মেয়রসহ আওয়ামী লীগের ছয় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তাদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে।

পরবর্তীতে মেয়রের পক্ষ থেকে ইউএনও এবং ওসিসহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হলে বিচারক পিআইবিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

[irp]

অবশেষে সমঝোতায় সকল দ্বন্দ্বের অবসান

আপডেট সময় : ০৮:৪০:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১

আমির হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ অবশেষে সমঝোতায় সকল দ্বন্দ্বের অবসান হলো। বিসিসি মেয়র এবং জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টিকে ভুল বুঝাবুঝি বলে উভয় গ্রুপ মেনে নেয়ার পর সকলের মুখে হাসি ফোটে। তবে ওই সমঝোতা বৈঠকে ইউএনও মুনিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।

রবিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পযন্ত বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনে এ সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেই ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। আর যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর জানান, বরিশালের সাম্প্রতিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়। পুরো বিষয়টি ইতিবাচক ছিলো। তবে বৃহত্তর স্বার্থে বৈঠকের খুটিনাটি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। বৈঠকে সকল পক্ষের মামলা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল ইসলাম বাদল, ডিআইজি আক্তারুজ্জামান, পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার, পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সরকারি কৌশলী একেএম জাহাঙ্গীরসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে ইউএনও মুনিবুর রহমান বলেন, আমাকে বৈঠকে ডাকেনি। তবে সেখানে আমার উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা আমারও সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত, ১৮ আগস্ট রাতে ইউএনও’র বাস ভবনে হামলা ও পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।

ওই ঘটনায় ইউএনও ও পুলিশের পক্ষ থেকে মেয়রসহ আওয়ামী লীগের ছয় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তাদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে।

পরবর্তীতে মেয়রের পক্ষ থেকে ইউএনও এবং ওসিসহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হলে বিচারক পিআইবিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

[irp]