ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত Logo পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাড়াতে টার্গেট সেনাবাহিনী Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান

না ফেরার দেশে ক্যাপ্টেন নওশাদ

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৪:০৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
  • / ১০৮০ বার পড়া হয়েছে

মধ্য আকাশে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম মারা গেছেন।

সোমবার (৩০ আগস্ট) পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুব গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে গতকাল রোববার (২৯ আগস্ট) নওশাদ কাইয়ুমের মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লেও তাকে আসলে নেয়া হয় নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ‘কোমায়’।

হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানায়, ক্যাপ্টেন নওশাদের অবস্থা গুরুতর। তিনি সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় বেঁচে আছেন। তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি কোমায় আছেন।

হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেস ডিরেক্টর ডা. সুভরজিৎ দাশগুপ্ত, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান ডা. রঞ্জন বারোকার এবং  ডা. বীরেন্দ্র বেলেকারের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম।

শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন কাইয়ুম অসুস্থবোধ করেন। পরবর্তীতে  বিমানটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন কাইয়ুম কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।

কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে তার নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে ১২৪ জন যাত্রী ছিল। তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন।

এ বিষয়ে ঘটনার দিনই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল জানান, ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণের পর পাইলট নওশাদকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। উড়োজাহাজের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যাত্রীরা সবাই নিরাপদে আছেন। যাত্রীদেরকে উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে টার্মিনালের লাউঞ্জে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যাত্রীদেরকে নাগপুর থেকে আনতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় একজন পাইলট ও সহকারী পাইলট নাগপুর যাবেন। তবে চিকিৎসক যদি ওই পাইলটকে উড়ার অনুমতি দেন তাহলে পাইলট নওশাদই ফ্লাইটটি নিয়ে দেশে ফিরবেন।

[irp]

না ফেরার দেশে ক্যাপ্টেন নওশাদ

আপডেট সময় : ০৪:০৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১

মধ্য আকাশে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম মারা গেছেন।

সোমবার (৩০ আগস্ট) পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুব গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে গতকাল রোববার (২৯ আগস্ট) নওশাদ কাইয়ুমের মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লেও তাকে আসলে নেয়া হয় নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ‘কোমায়’।

হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানায়, ক্যাপ্টেন নওশাদের অবস্থা গুরুতর। তিনি সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় বেঁচে আছেন। তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি কোমায় আছেন।

হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেস ডিরেক্টর ডা. সুভরজিৎ দাশগুপ্ত, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান ডা. রঞ্জন বারোকার এবং  ডা. বীরেন্দ্র বেলেকারের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম।

শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন কাইয়ুম অসুস্থবোধ করেন। পরবর্তীতে  বিমানটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন কাইয়ুম কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।

কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে তার নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে ১২৪ জন যাত্রী ছিল। তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন।

এ বিষয়ে ঘটনার দিনই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল জানান, ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণের পর পাইলট নওশাদকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। উড়োজাহাজের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যাত্রীরা সবাই নিরাপদে আছেন। যাত্রীদেরকে উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে টার্মিনালের লাউঞ্জে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যাত্রীদেরকে নাগপুর থেকে আনতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় একজন পাইলট ও সহকারী পাইলট নাগপুর যাবেন। তবে চিকিৎসক যদি ওই পাইলটকে উড়ার অনুমতি দেন তাহলে পাইলট নওশাদই ফ্লাইটটি নিয়ে দেশে ফিরবেন।

[irp]