রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ গঙ্গাচড়ায় এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহতের পরিবারকে ম্যানেজ করে রফাদফা।
গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের উত্তর পানাপুকুর মাল্লীপাড়া গ্রামে আজ রবিবার এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পর ওই গৃহবধুর স্বামী পলাতক রয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উত্তর পানাপুকুর মাল্লীপাড়ার সেত্তার আলীর পুত্র জিয়াউল ইসলাম (৪৩) এর সাথে তার স্ত্রী উম্মেহানীর (৩৮) পারিবারিক বিষয় নিয়ে মতবিরোধ চলে আসছিলো।
ঘটনার দুদিন আগ থেকে জিয়াউল তার স্ত্রীকে প্রায় সময় মারধর করে। রবিবার সকালে বাড়ির পাশে পুকুরে উম্মেহানীর লাশ ভেসে থাকতে দেখে লোকজন। এলাকার লোকজনের ধারনা জিয়াউল তার স্ত্রীকে হত্যা করে বিষয়টি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য পুকুরে মরদেহ ফেলে দেয়। এদিকে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন ও ওসি তদন্ত নুর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ থানায় নিয়ে আসেন।
অপরদিকে বিষয়টি আপোষের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে চেষ্টা করে জিয়ার পরিবারের লোকজন। উম্মেহানীর বাবা রেয়াজুল ও ভাইয়েরা আপোষের শর্ত দেয়। ফলে মৃতের ভাই মাহমুদুল বাদী হয়ে থানায় ইউডি মামলা করেন। ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুল হক রাজু জানান, মৃতের ছেলের নামে কিছু জমি লেখা দেয়া ও উম্মেহানীর আত্মীয়র পাওনা টাকা বাবদ জিয়াউলের ট্রলি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।