আস্থা ডেস্কঃ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ১২ দিন ধরে চিপস পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। এরকই সাথে ভারতে পার্কিং চার্জ বৃদ্ধি ও ওভারলোডিং বন্ধ রয়েছে। এতে বিভিন্ন প্রকল্পে পাথর সরবরাহ করতে না পারায় পাথর সাপ্লাই নিয়ে বিপাকে পড়েছে চুক্তিবদ্ধ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। পাথরের অভাবে চলমান উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বন্দরের কমেছে রাজস্ব আদায়।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে , গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চিপস পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে । মাঝে দুই দিন অল্প কয়েক ট্রাক পাথর হলেও পরে একেবারে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে । এ ছাড়া পাথর আমদানি না হওয়ায় বন্দরের রাজস্ব আহরণ কমেছে।
এদিকে পাথর আমদানি বন্ধ থাকলেও বন্দর অভ্যন্তরে কিছু পাথর রয়েছে সেগুলো সরবরাহ সংকটে বর্তমানে ৫/৮ ও ৩/৪ সাইজের পাথর ৭০০ টাকা থেকে বেড়ে সাড়ে ৪ হাজার টাকা টন বিক্রি হচ্ছে। ১/৪ ও সাইজের পাথর তিন হাজার ৩০০ টাকা থেকে বেড়ে তিন হাজার ৬০০ টাকা টন বিক্রি হচ্ছে ।
হিলি স্থলবন্দরের পাথর আমদানিকারক রনি খান বলেন, দেশে রাস্তাঘাট, কালভার্টসহ ব্যাপক হারে কর্মযজ্ঞ চলছে। আমার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পাথর সরবরাহে জন্য চুক্তি রয়েছে । তাদের সময়মতো পাথর সাপ্লাই দিতে না পারলে বড় ধরনের লোকসানে পরতে হবে আমাদের । কারণ পাথর সাপ্লাই চুক্তি অনুযায়ী দিতে না পারলে তারাও বিল দেবে।
হিলিতে পাথর নিতে আসা কোম্পানির প্রতিনিধি বলেন, রাস্তা চার লেনের কাজ চলছে হিলি স্থলবন্দর থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ ট্রাক পাথর যায় রাস্তার কাজে। কিন্তু হঠাৎ করে পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় রাস্তার কাজ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছে আমাদের প্রতিষ্ঠান ।
কারণ হিলি স্থলবন্দরের পাথর আমদানিকারকের সঙ্গে পাথর সাপ্লায় এবং পাথরের দাম নিয়ে চুক্তি রয়েছে। সময়মতো পাথর না পেলে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া বাড়তি দামে বাইরে থেকে পাথর নিয়ে কাজ চালানো সম্ভব না।
বাংলা হিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে চিপস পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে ভারতীয় রফতানিকারকদের সঙ্গে কয়েকবার আলোচনা করেছি।
তারা আমাদের জানিয়েছেন, ভারতে ট্রাকের পার্কিং চার্জ আগে দিনে ১০০ রুপি নেওয়া হতো। এখন চার্জ বাড়িয়ে ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অবস্থানকালীন চার্জ ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রতি ঘণ্টা ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
এসব সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে পাথর আমদানিতে ঝামেলা হচ্ছে বলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জানান।