প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন সিনিয়র সচিব (অব.) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি সাবেক প্রতিরক্ষা, ধর্ম ও আইন সচিব ছিলেন।
২০১৪ সালে তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।পরে ওই বছরের ১৮ জুন তার চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ায় আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল হাবিবুল আউয়ালের।
কিন্তু ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি পিআরএল বাতিল করে তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে এক বছরের চুক্তিতে পুনরায় নিয়োগ দেয় সরকার। পরে সেই চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। ২০১৭ সালে অবসরে যান তিনি।
অন্য চার কমিশনার হলেন, জেলা ও দায়রা জজ (অব.) বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার (অব.) আহসান হাবিব খান,সাবেক সিনিয়র সচিব ৮৪ ব্যাচের মো. আলমগীর ও সিনিয়র সচিব ৮৫ ব্যাচের আনিছুর রহমান।
ব্রিগেডিয়ার আহসান হাবিব খান সম্পর্কে যতটুকু জানা গেছে তিনি ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান। পরে ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সরকার চুক্তিতে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেয় তাকে।
এর আগেও তিন বছরের জন্য বিটিআরসির স্পেকট্রামের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বিটিআরসিতে একটি প্রকল্পে এক বছরের জন্য মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
নির্বাচন কমিশনের বাকি সব সদস্য আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন পদে থেকে সরকারি সু্যোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। বিশেষ করে ৮৪ ব্যাচের মো. আলমগীর শুধু সিনিয়র সচিবই ছিলেন না তাঁকে সরকার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব পদেও নিয়োগ দেন। চরম বিতর্কিত হুদা কমিশনে তিনি সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
৮৫ ব্যাচের আনিছুর রহমান কট্টর সরকার সমর্থক আমলা হিসেবে পরিচিত। তিনি বর্তমান সরকারের আমলে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ হতে ০৪ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ০৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে সচিব পদে যোগদান করেন। ২৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ হতে তিনি এ বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।