নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল বানিয়াকান্দি এলাকায় দৈনিক আস্থা’র স্টাফ রিপোর্টার রায়হান জামানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে হত্যা চেষ্টা, ভাংচুর ও নগদ ক্যাশ লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ০৭/০৮/২২ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ৯ টায় দিকে ছিনতাইকারী চক্রের একদল সদস্যকে অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১৪ এর সদস্যরা গ্রেফতার করে। রায়হান সাংবাদিকতা করাই ঐ চক্রের ধারণা রায়হান গোপন তথ্য তাদের ধরিয়ে দিয়েছে। সেই জেরে তাদের চক্রের সদস্য নাবিলাকে কাজে লাগিয়ে রায়হানের মোবাইল ফোনের ব্যক্তিগত ও সংবাদিক পেশার গোপনীয় তথ্য চুরি করার নীল নকশা তৈরি করে।
দোকানের মালিক রায়হান জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, গত সোমবার দুপুর আনুমানিক ১:১৫ মিনিটে নাবিলা নামের একটি মেয়ে আমার দোকানে বিকাশে ক্যাশ আউট করার কথা বলে আমার এজেন্ট নম্বরটি নেয়। সাথে সাথে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে আমার এজেন্ট নম্বরে কল আসে এবং মেয়েটি তার কল বলে আমার হাত থেকে মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে আমার অগোচরে ৪ মিনিট ১৯ সেকেন্ড কথা বলে এবং তার ব্যক্তিগত মোবাইলে পিন আদানপ্রদান করছে যা আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। কথা শেষে একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে বারো হাজার ছয়শত টাকা পাঠাতে বলে। বিকাশ নিয়ম অনুযায়ী টাকা পাঠানোর পূর্বে আমি তার কাছে টাকা চাইলে সে আমাকে ধমকের সুরে ” আগে টাকা পাঠান পরে টাকা দিবো” কিন্তু আমি নগদ টাকা ছাড়া টাকা পাঠাতে অস্বীকার করলে নাবিলা নামের মেয়েটি আমার হাত থেকে মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে দৌঁড় দেয়।
পরে আমি তাকে আমার দোকানের আনুমানিক ২০০ফুট উত্তরে (জিএস ডেন্টাল ক্লিনিক) এর সামনে থেকে বিনয়ের সাথে আমার দোকানে নিয়ে এসে তার পরিচয় ও আমার মোবাইল ফোন দ্বারা কথোপকথন এবং আমার মোবাইল ফোনের ব্যক্তিগত ও সাংবাদিক পেশার অন্যান্য গোপনীয় তথ্য হস্তগত হয়েছে কি-না তা জানতে চেয়ে তার রিসিভকৃত নম্বরে কল করলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মেয়েটির পরিচয় পিতার নাম সনাক্ত করে তাকে সম্মানের সাথে বিদায় দেওয়া হয়।
পরবর্তী ৩টার সময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জালাল কে নিয়ে নাবিলার মা আমার দোকানে এসে নাবিলার এই ধরনে ব্যবহারের জন্য আমার মাথায় হাত বোলিয়ে অনুশোচনা করেন পরে আমি উনাকেও সম্মান সাথে বিদায় দেই।
পরে আবার রাত ৮টার দিকে নাবিলা তার চক্রের সদস্যদের নিয়ে আমার দোকানে এসে আমাকে মারধর শুরু করলে এলাকাবাসী তাড়া খেয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন রাত সাড়ে ১১ টায় আমি দোকান লাগিয়ে বাসায় আসার সময় আমাকে একা পেয়ে তাদের চক্রের জসিম ও তার দল-বল আমাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমার দোকান ভাংচুর, নগদ ক্যাশ ও ঔষধ সামগ্রী লুটপাট ও জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।