নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন না করে ‘সুরক্ষিত’ করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দলের আলোচনাসভায় তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ এদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না, সুরক্ষা দেয়। আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে।”
বিএনপি কত খাদ্য উৎপাদন করেছে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শুধু জানে বেঁচে থাকাটাই তো মানবাধিকার না। আজকে আমরা খাদ্য নিরাপত্তা দিয়েছি, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছি।
“এক কোটি ৬৯ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য ছিল। আমরা আজকে চার কোটি ৭২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন করেছি। আমরা চালই তো করছি চার কোটি চার লাখ মেট্রিক টন। গম, ভুট্টা সব আমরা উৎপাদন করছি।”
মানুষকে স্বল্প মূল্যে খাবার দেওয়ার কথা তুলে ধরে মহামারীতে বিনা পয়সায় টিকা দেওয়াও বিষয়টি আবারও মনে করিয়ে দেন সরকারপ্রধান।
বাংলাদেশে একটাও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমরা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। একটা মাত্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আমরা এরপরে আরও পাঁচটা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি।
সর্বনাশটা কী করলাম?’
শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৭৬ সালের পর থেকে সংঘাত লাগিয়ে রেখেছিল এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর চুক্তি করে সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনে। যদিও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বাধা দিয়েছিল।
ভারত থেকে ৬৪ হাজার শরনার্থীকে ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসন করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সমস্যা সমাধান করে, মানুষের জন্য কাজ করে।
জাতির পিতা যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে রেখে গিয়েছিলেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর সেই দেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তাহলে আমরা দেশের সর্বনাশটা কী করলাম? খাদ্য উৎপাদন বাড়ায় দেশের সর্বনাশ হয়ে গেল?
আওয়ামী লীগ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না: শেখ হাসিনা
“ওইদিনই পার্লামেন্টে আমার বক্তব্যের সাথে সাথে বিরোধীদল থেকে খালেদা জিয়া, সাইফুর রহমান বলে উঠল, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। বিদেশ থেকে খাদ্য সাহায্য পাওয়া যাবে না।
“অর্থাৎ তাদের নীতি হলো সারা জীবন বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি থাকবে, বিদেশ থেকে ভিক্ষা চেয়ে আনবে আর ভিক্ষার খাবার খাবে। আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচবে না। নিজের পায়ে দাঁড়াবে না। কাজেই দুঃখ তো তাদের। ওর জন্য তাদের চোখে দেশের কোনো উন্নতিই হয়নি।
এমকে/আস্থা/এসজেআর