কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় খুন মামলার অজ্ঞাত আসামি সনাক্ত ও গ্রেফতার : আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি।
সূত্র : মামলা নং ৮/২৮, তারিখ ১৪/০২/২০২৩ ইং ধারা- ৩০২/৩৪ The Penal Code, 1860
গত মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পাকুন্দিয়ায় চরখামা এলাকায় নদীর ধারে মো: ইসমাইল (৪০) নামক এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়৷ হত্যাকারী ভিকটিমের গলায় মাফলার পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ উপুর করে ফেলে রেখে যায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ৷ ভিকটিম শিলপাটা ধার করে জীবিকা নির্বাহ করত বলে জানা যায়৷ ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে কারও প্রতি কোন সন্দেহ না থাকায় সেদিন সন্ধ্যায় থানায় এসে ভিকটিমের বড় বোন আসমা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলার এজাহার দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ রাসেল শেখ, পিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনা ও তদারকিতে থানার অফিসার ইন চার্জ সারোয়ার জাহান মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করেন৷ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মামলা রুজুর ৪৮ ঘন্টা সময়ের মধ্যেই ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ হত্যার সাথে মো: গোলাম রাব্বী (২০) কে গ্রেফতার করা হয়। অদ্য ১৭-০২-২৩ খ্রি: ধৃত আসামি মো: গোলাম রাব্বী বিজ্ঞ আদালতে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে CrPC,1898 এর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে৷ ধৃত মো: গোলাম রাব্বী অবৈধ সম্পর্ক ও আর্থিক লেনদেনসহ নানাবিধ কারণে ভিকটিমের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি হওয়ায় ঘটনার দিন ১৩-০২-২৩ খ্রি: তারিখ সোমবার সন্ধ্যার পর ভিকটিম কুড়িখাই মেলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর কৌশলে নদীর ধারে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়৷ রাত অনুমান ৯ ঘটিকার পর গিয়ার নামক পানীয়র সাথে গোপনে ৪ পিস ঘুমের ঔষধ খাওয়ানোর পর ঘুম চলে আসলে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ভিকটিমকে হত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
ঘটনাস্থল থেকে ঘুমের ট্যাবলেটের খালি পাতা, গিয়ার পানীয়র খালি বোতল ও অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে৷ ধৃত বিবাদী মো. গোলাম রাব্বী ভিকটিমের একই এলাকার প্রতিবেশী (চরখামা) এবং মঠখোলায় অবস্থিত হাজী জাফর আলী কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র।
রায়হান জামান,কিশোরগঞ্জ