কিশোরগঞ্জের মিঠামইন ফেরিঘাটের টোল আদায়কারীদের বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মাছুম আহমেদ নামে এক ভুক্তভোগী এ অভিযোগ করেছেন।
এ সময় চালকরা জানান, এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করলে ইজারাদারের নিয়োগকৃত লোকজনের হাতে প্রায়ই লাঞ্ছিত হতে হয়। এসব কারণে পরিবহন শ্রমিকেরা ইজারা কর্তৃপক্ষের লোকজনের হাতে জিম্মি হয়ে অতিরিক্ত টোল পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
অতিরিক্ত টোল দেয়া মাছুম আহমেদ দৈনিক আস্থাকে জানান, তিনি নিয়মিত এই ফেরি দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। তিনি বলেন, জন ভোগান্তির চরমে এখন কিশোরগঞ্জ বালিখলা মিঠামইন ফেরি। এখানে ইজারাদারদের ইচ্ছামতো টোল আদায় করা হচ্ছে ৫ টাকার টোল ২০ টাকা, ৪০ টাকার টোল আদায় হচ্ছে ২০০০ টাকা, তবুও কোন প্রকার রশিদ ছাড়াই এসব লেনদেন হচ্ছে, যা একপ্রকার হরিলুট। তখন তিনি ইটনা টু চামড়া ও বালিখলা টু মিঠামইন ফেরি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সাথে হাওরের মিঠামইন উপজেলা সদরে যোগাযোগ এখন সড়ক পথেই রক্ষা করা যায়। ফলে হাওরের তিন উপজেলা মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও ইটনা থেকে কেবল জেলা সদর নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতেও এই সড়কটি বেশ জনপ্রিয়। সড়ক পথে এই যোগাযোগ রক্ষার জন্য মিঠামইন উপজেলার পাশে ঘোড়াউত্রা নদী ও করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলায় নাকচিনি নদীতে সড়ক ও জনপদের দুটি ফেরি রয়েছে।
নিয়মিত যানবাহন থেকে টোল আদায়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোনো নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। ইজারা আদায় কর্তৃপক্ষের দাবিকৃত ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন যানবাহন চালকেরা। অতিরিক্ত ভাড়া দিতে রাজি না হলে ইজারাদারের নিয়োগকৃত লোকজনের হাতে প্রায়ই লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে তাঁদের। এসব কারণে পরিবহন শ্রমিকেরা ইজারা কর্তৃপক্ষের লোকজনের হাতে জিম্মি হয়ে অতিরিক্ত টোল পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ব্যাপারে ফেরির সুপারভাইজারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি অতিরিক্ত টোল আদায় করার কথা অস্বীকার করে এড়িয়ে যান।
রায়হান জামান,স্টাফ রিপোর্টার/কিশোরগঞ্জ