কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন ও কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ নির্মানের দাবিতে মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলন করেছে কিশোরগঞ্জ সম্মিলিত নাগরিক ফোরাম।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলা শহরের নিরালা টাওয়ার সেমিনার হলে কিশোরগঞ্জ সম্মিলিত নাগরিক ফোরাম আয়োজিত এ মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা মহিলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিস বেগমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ সম্মিলিত নাগরিক ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক এনায়েত করিম অমি। বক্তব্য রাখেন এ্যাড. মায়া ভৌমিক,জেলা আ.লীগ নেতা বাদল রহমান,কিশোরগঞ্জ উইমেন চেম্বারের সভাপতি ফাতেমা জহুরা,সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু,কবি ও ছড়াকার জাহাঙ্গীর আলম জাহান,সিনিয়র সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ,আলম সারওয়ার টিটু,শাহজাহান সাজু,মনোয়ার হোসেন রনি,মাজহার মান্না,কিশোরগঞ্জ প্রিন্ট মিডিয়া এসোসিয়েশনের সভাপতি আশরাফ আলী,জেলা যুবলীগ নেতা রাশেদ জাহাঙ্গীর পল্লব,বাপার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল,বিজন কান্তি দাস প্রমুখ।
সভায় সম্মিলিত নাগরিক ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক এনায়েত করিম অমি বলেন, ইতিহাসের সাথে মিশ্রিত কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে ইতিহাসের রাখাল রাজার প্রতিকৃতি না থাকাটা খুবই দুঃখজন ও লজ্জার। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে দেয়ালে আঁকা ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে পরিপূর্ণ তৃপ্তি মিলেনা। কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের জন্মভূমি, জিল্লুর রহমানের জন্মভূমি এবং আমাদের বটবৃক্ষ বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ সাহেবের জন্মভূমিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদদের স্বরণে একটি কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণের বিকল্প নেই।
এসময় তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার বিজয় দিবস নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, আমরা নিজেরাই নিজেদেরকে ছোট করে রাখি। আমাদের মাঝে অনেক সাংবাদিক ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ পত্রিকায় বড় করে লিখেন আজ কিশোরগঞ্জের বিজয় দিবস; কিন্তু তা সঠিক নয়। কোথাও দেখাতে পারবেন না কিশোরগঞ্জ ১৭ই ডিসেম্ব বিজয় লাভ করেছে। বরং ১৬ ই ডিসেম্বর সারা দেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জও বিজয় লাভ করে। আমি সকল ইতিহাসবিদ ও সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ করতে চাই।
পরে মতবিনিময় সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন ও ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিশোরগঞ্জে বন্ধু উদ্যান স্থাপনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু উদ্যান,জাদুঘর,ম্যুরাল ও জেলার কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ নির্মানের দাবি জানান।
সভা থেকে আগামী ২০ মার্চ সোমবার দুপুর ১২ টায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। পরে এতিম শিশুদের নিয়ে কেক কেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
রায়হান জামান,কিশোরগঞ্জ