সুদানে যুদ্ধ বন্ধে সৌদিতে আলোচনায় বসবেন দুই জেনারেল
আস্থা ডেস্কঃ
শিগগিরই আলোচনায় বসছেন দেশটির সেনা প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালোস।
মঙ্গলবার মিসরীয় নিউজ চ্যানেল আল-কাহেরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রানজিশনাল সোভেইরিন কাউন্সিলের সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল শামস আল-দিন আল-কাব্বাশি এ কথা বলেছেন।
সৌদি আরবসহ আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিতব্য জেদ্দার ওই আলোচনায় সুদানের যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক প্রয়োজনের ওপর আলোকপাত করা হবে। গত সপ্তাহে সুদানের জাতিসংঘ দূত ভলকার পেরেটজ জানিয়েছিলেন, উভয়পক্ষই আলোচনার জন্য প্রস্তুত। আসন্ন আলোচনার জন্য ইতোমধ্যেই তারা প্রতিনিধি মনোনীত করেছে। শুরুর দিকে সৌদি আরবের জেদ্দা অথবা দক্ষিণ সুদানের জুবায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তখন দাগালোর সাথে আলোচনায় বসতে অসম্মতি জানিয়েছিলেন বুরহান। অন্যদিকে দাগালো জানিয়েছিলেন সেনাবাহিনী শত্রুতা বন্ধ না করা পর্যন্ত তিনি আলোচনায় বসবেন না।
১৫ এপ্রিল থেকে সুদানে সেনা ও আধাসেনা বাহিনীর মধ্যে চলছে ক্ষমা দখলের লড়াই। দুই জেনারেলের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক বেসামরিক নাগরিক। দলে দলে দেশ ছাড়ছেন বাসিন্দারা। খাদ্য, বিদ্যুৎ ও পানির ঘাটতিতে দিন কাটাতে হচ্ছে অনেককে। ওষুধ-রক্ত-অক্সিজেনের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতালও। ক্ষমতা দখল দ্বন্দ্বের টানা ১৮ দিনের মাথায় শোনা গেল, যুদ্ধ বন্ধের হাওয়া লেগেছে সুদানে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)-এর সমীক্ষা অনুযায়ী দুই জেনারেলের দ্বন্দ্বে চলমান অস্থিরতা থেকে বাঁচতে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাড়ি জমাতে পারে প্রায় আট লাখ মানুষ। এদের মধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশ অর্থাৎ দুই লাখ ৪০ হাজার পালাচ্ছে দক্ষিণ দারফুর ও পশ্চিমের দেশগুলোতে। যেখানে সুদানের প্রতিবেশী দরিদ্র দেশগুলোর দুই-তৃতীয়াংশই বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল সেখানে দেশগুলোতে শরণার্থীদের অবস্থান সার্বিক অবস্থাকে আঞ্চলিক সংকটে রূপান্তরিত করবে।