ভাসুরের লাঠির আঘাতে আহত গৃহবধূর মৃত্যু
নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে জেলা সদরের গোরগ্রাম ইউনিয়নের দলুয়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে ভাসুরের লাঠির আঘাতে আহত গৃহবধূ রাকিবা আক্তারের (২৯) মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় আড়াই বছর পূর্বে জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের মোঃ রোকন আলীর মেয়ে রাকিবা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের দোলুয়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ জয়নাল আবেদীনের (৩২) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পৈত্রিক ভিটা নিয়ে জয়নাল আবেদীন এবং তার বড়ভাই আফজাল হোসেনের (৪০) মধ্যে প্রায় সময়ে ঝগড়া হতো। এরই জেরে দুপুরে বড়ভাই আফজাল হোসেন ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রাকিবা আক্তারকে বাড়িতে প্রবেশের সময় লাঠি দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করেন। আফজালের স্ত্রী এবং তার (আফজালের) বাবা মফিজ উদ্দিন ওই হামলার সময় সঙ্গে ছিলেন।
নিহতের মেজ ভাই এরশাদ আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে আমার ভগ্নিপতি জয়নালের বড় ভাই আফজাল হোসেন ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম (৩২) আমার বোনকে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করেন। আফজাল হোসেনের বাবা মফিজ উদ্দিনসহ অন্যান্যরা এ সময় আমার বোনকে মারতে উৎসাহী করেন। এ অবস্থায় আমার বোন অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসা না দিয়ে বাড়িতে ফেলে রাখেন।
তিনি আরো বলেন, ‘ঈদের পর গত ২৪ এপ্রিল বোন আমাদের বাড়িতে আসলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আমরা তাকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে গত ২ মে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
নীলফামারী সদর থানার উপ-পরিদর্শক সমর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহতের শ্বশুর মফিজ উদ্দিন ও আফজাল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগমকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। শনিবার নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করা হবে।
ওই গৃহবধূ দলুয়া গ্রামের মোঃ জয়নাল আবেদীনের (৩২) এর স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ ওই গৃহবধূর শ্বশুর ও জাকে আটক করেছে।