DoinikAstha Epaper Version
ঢাকারবিবার ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪
ঢাকারবিবার ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

পিতা-পুত্রকে নির্যাতনকারী মধুখালীর ভাইরাল রুমা আটক

Abdullah
মে ১৭, ২০২৩ ৭:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পিতা-পুত্রকে নির্যাতনকারী মধুখালীর ভাইরাল রুমা আটক

মামুনুর রশীদ/ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ

অসহায় পিতা ও তার কিশোর পুত্রের বিরুদ্ধে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে আটকে রেখে টর্চার সেলের স্টাইলে পিতা ও পুত্রকে নির্যাতনের ভিডিও মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়ে উঠে রুমা! সকল আলোচনার অবসান ঘটাতে অবশেষে প্রায় দুই মাসের অধীক সময় পর ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দি মোড় হতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাইরাল রুমাকে আটক করেছে পুলিশ। রুমা মাঝকান্দি এলাকার নাজিম উদ্দিন এর মেয়ে।

আজ বুধবার (১৭ মে) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বিন কালাম রুমাকে আটকের খবরটি নিশ্চিত করেন সাংবাদিকদের জানান, মধুখালীর আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে কিশোর রাজন মৃধা (১৫) তার পিতা ইয়ামিন মৃধা রাজু (৪০)কে আটকিয়ে নির্যাতন করার ভিডিওতে রুমা বাবা-ছেলেকে পাশবিক নির্যাতনের নির্দেশ দিতে দেখা যায়। ভিডিওতে রুমার সঙ্গে আরও ৮-১০ জনকে নির্যাতনের ভিডিও চিত্রে দেখা যায়। বিষয়টি সামাজিক মহল থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন ও সর্বমহলে চরম উদ্বিগ্নতা দেখা দেয়। পুলিশ দ্রুত সময়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। কিন্ত ভাইরাল নারী রুমা আত্মগোপনে চলে যায়। গ্রেপ্তার এড়াতে রুমা নিকটাত্মীয় ছাড়াও পরিচিতজনদের বাসাতে অবস্থানসহ দেশের ৫টি জেলায় অবস্থান করেন।

 

সর্বশেষ মাগুরা জেলা থেকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দি মোড়ে একটি গাড়ি থেকে নামছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত রুমাকে বুধবার বিকালে ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে তা খুঁজে বের করতে বুধবার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে রুমাকে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

 

প্রসঙ্গত গত ১৭ মার্চ ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে তালা লাগিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয় কামারখালী ইউনিয়নের সালামতপুর (বর্তমান রউফনগর) গ্রামের ইয়ামিন মৃধা রাজু ও তার ছেলে রাজন মৃধাকে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া নিজের ৮ বছরের সৎ মেয়ে ও বোনকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বাবা ইয়ামিন মৃধা ও ছেলে রাজন মৃধাকে পাশবিক নির্যাতন করার পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে ছেলে রাজনের বিরুদ্ধে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয় থানায়।

 

আরো পড়ুন :  হাওরের নৌপথে তিন ট্রলার বোঝাই ভারতীয় চোরাচালানের কয়লা জব্দ

ঘটনার সাত দিন পরে বাবা ও ছেলেকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অমানবিকভাবে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে আসে। বাবা-ছেলেকে নির্যাতনের ঘটনায় ইয়ামিন মৃধা থানায় আরও একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইসরাত জাহান লিপি তার স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ইভাকে (৮) দত্তক নিতে চেয়েছিলেন। তার এ উদ্দেশ্য সফল করতে মেয়েটির সৎ বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাদের নির্দয়ভাবে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয় এবং ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে দিয়ে ধর্ষণ মামলা করানো হয়।

 

এ ঘটনার পরে ছেলেটির বাবা ইয়ামিন মৃধা বলেন, অভিযোগ শুধু আমার ছেলের বিরুদ্ধেই নয়, প্রথমে তারা আমার বিরুদ্ধেও মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিল।

 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর, মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম, নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিরাজ হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

 

উল্লেখ্য এই মামলায় রুমাসহ বুধবার পর্যন্ত গ্রেপ্তার অন্যন্যে আসামিরা হলেন, মাঝকান্দির নাজিমউদ্দীনের ছেলে কুতুব উদ্দিন (৩৬), আসাদুলের ছেলে ফয়সাল (২০), শাজাহানের ছেলে জহিরুল (১৯), আসাদুল মোল্যার ছেলে ফরমান মোল্লা (২১), শাহজাহান মোল্যার ছেলে সজীব মোল্লা (২২), নবিয়াল শেখের ছেলে জুবায়ের শেখ (২০), নূর ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে হাসিব ভূঁইয়া (২০), সাহিদ মোল্যার ছেলে মো: খালিদ মোল্লা (১৯)। তবে এদের মধ্যে আসামি ফয়সাল ও জহিরুল মামলা রুজুর দু’দিন পরে আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনে বেরিয়ে আসে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:২৩
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:১৬
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:২৮
  • ১২:০০
  • ৪:২৬
  • ৬:১৬
  • ৭:৩১
  • ৫:৪১