সেপটিক ট্যাংকে গৃহবধূর মরদেহ, স্বামী আটক
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়ার ১৬ দিন পর পঁচাগলা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পলাতক আসামি স্বামী উজ্জল শেখকে (৩০) আটক করে ফরিদপুর র্যাব-১০। উপজেলার রাজবাড়ি রাস্তার মোড় থেকে সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আটক করে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর র্যাব-১০ এর সম্মলেন কক্ষে কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। সে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মোঃ কুদ্দুস শেখের ছেলে।
র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক কে এম শাইখ আকতার জানান, গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে ও পারিবারিক কলহের কারণে ৩ আগস্ট রাতে রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার তেতুলিয়ায় স্ত্রী মিনু বেগমকে (২৭) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখে। পরে এ হত্যার ঘটনাটি আড়াল করতে স্ত্রী নিখোঁজের ঘটনা প্রচার করে গৃহবধূর স্বামী উজ্জল ও তার পরিবারের লোকজন।
অতঃপর গত ১৯ আগস্ট ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বের হলে পুলিশকে সংবাদ দেয় এলাকাবাসী। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ মিনু বেগমের পঁচাগলা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের মা সোনা বানু বাদি হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি উজ্জল তার স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখার কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় নিহতের শাশুড়ি জহুরা বেগম পুলিশ হেফাজতে হত্যা ও গুমের ঘটনা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব