অকুতোভয়ে মোটরসাইকেল ও অটো চুরি করা ছিল ওদের নেশা
মামুনুর রশীদ/ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ছোট গাড়ি চুরি করতে সংঘবদ্ধভাবে সক্রিয় ছিল ওরা সাতজন। কেউ মোটরসাইকেল চুরি করত। কেউ আবার অটো রিকশা। নেশার মত গাড়ি চুরি করাই ছিল ওদের নেশা। সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে ১৬টি মামলা হলেও থেমে ছিল না সিদ্ধহস্ত গাড়ি চুরির কাজ। অবশেষে আন্ত জেলা মোটরসাইকেল ও অটো চোর চক্রের সাত সদস্যকে ফরিদপুর জেলা পুলিশ আটক এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে এসেছে।
মোটরসাইকেল ও অটো চোর চক্রের সদস্যদের আটক করায় গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।
তিনি জানান, ফরিদপুরের জেলা সদর থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপজেলায় মোটরসাইকেল ও অটো গাড়ি চুরি করে আসছিল সংবদ্ধ চোর চক্রে। অবশেষে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯টি চোরাই মোটরসাইকেল ও ৬ টি অটোবাইক উদ্ধারসহ একাজের সাথে জড়িত চোরাই চক্রের ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, মোঃ রাসেল ওরফে মনির মাতুব্বর, মোঃ বাদশা ফকির, সিদ্দিক সরদার, মোঃ আল-আমিন, আয়নাল হোসেন, সাদ্দাম মোল্লা, ইয়াছিন খাঁ। ঢাকা, রাজবাড়ি ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আটককৃত সাতজনের বাড়ি।
পুলিশ সুপারজানান, শুক্রবার থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়েলিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলার রাজবাড়ি রাস্তার মোড় থেকে রাসেল ওরফে মনির মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসয় তার কাছ থেকে ১টি চোরাই পালসার মোটর সাইকেল ও মাস্টার চাবি জব্দ করা হয়।
পরে রাসেলের দেয়া তথ্যমতে বাদশা ও সিদ্দিককে গ্রেপ্তারকালে দুজনের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪টি করে ৮টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক অটোবাইক চুরির ঘটনার পাশাপাশি একটি হত্যাকান্ডের অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। পরে আসামী সিদ্দিকের তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে আল-আমিনকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে তিনটি চোরাই অটোবাইক উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সদরপুর উপজেলার হাট কৃষ্টপুর এলাকা থেকে আয়নাল কে আটককালে তার কাছ থেকে আরও ৩টি চোরাই আটোবাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান বলেন, রাসেলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১১টি, বাদশার ৯টি, সিদ্দিকের ৮টি, সাদ্দামের ৪টি, ইয়াছিনের ৪টি ও আল-আমিনের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে অংশ নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সালাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, কোতয়ালী থানার ওসি এম.এ. জলিলসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিক বৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। আসামীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে আদালতে পাঠানো হয়।