ঠাকুরগাঁওয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ৪০ জন শিক্ষার্থী
আব্দুল্লাহ আজাদ/ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে দাখিল ২০২৩ পরীক্ষায় ৩ টি মাদ্রাসার ৪০ জন শিক্ষার্থীকে মূল খাতার রুপ পরিবর্তন করে ফেল করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তোভোগী মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার রাতোর (আর), এফ.এস দাখিল মাদ্রাসা, বাংলাগড় দাখিল মাদ্রাসা ও হোসেনগাঁও দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মঙ্গলবার দুপুরে পৌরশহরের একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রাতোর (আর), এফ.এস দাখিল মাদ্রাসার সুপারিটেনডেন্ট বলেন, আমার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী। বিগত কয়েক বছরে দাখিল মাদ্রাসার ফলাফল অনেক ভালো এবং এবারেও তারা অনেক ভালো পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র ওএমআর শিট, এমসিকিউ প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে নতুন প্রশ্ন সংযোজন, একের অধিক বৃত্ত ভরাট, ওএমআর এর নম্বর ঘষামাজা করে পরিবর্তন, পরীক্ষার্থীদের মূলখাতার সেলাই কেটে আলাদা খাতা সংযোজন ও আক্রোশমূলক রোল গুলো চিহ্নিত করে তারা পরিকল্পিত ভাবে ৪০ জন শিক্ষার্থীদের ফেল করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের পক্ষে বোর্ড চ্যালেঞ্জ এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। তাদের এই কর্মকাণ্ডে আমাদের মাদ্রাসাগুলো হুমকির মুখে পড়েছে তার সাথে এতগুলো শিক্ষার্থীর সম্মান নষ্ট হয়েছে।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অশ্রুকণ্ঠে জর্জরিত হয়ে বলেন, আমরা খুব ভালো পরীক্ষা দিয়েছি। এভাবে ফেল করার মত আমরা পরীক্ষা দেইনি। পরীক্ষা কেন্দ্রে যারা দায়িত্বে ছিল তারা আমাদের ফেল করিয়ে দিয়ে আমাদের জীবনগুলো ধ্বংস করে দিলো। আমরা এখন বাইরে মুখ দেখাতে পারিনা, চারিদিকে অপমান অপদস্থে আমরা আজ আত্মহত্যার সম্মুখীন। আমরা সকলেই আমাদের প্রকৃত ফলাফল চাই।
অন্যদিকে অভিভাবকেরা বলেন, আমাদের সন্তানরা যেভাবে পরীক্ষা দিয়েছে সে হিসেবে তারা এভাবে ফেল করার কথা না। যারা আমাদের সন্তানদের এরকম অবস্থায় ফেলেছে তাদের আমরা উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাগড় দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার আজিজুল হক, হোসেনগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সুপার নিজাম উদ্দিন, ভূক্তোভোগী শিক্ষার্থীরাসহ অভিভাবকেরা।