ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবী-পুলিশ সংঘর্ষ

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১১০৪ বার পড়া হয়েছে

আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবী-পুলিশ সংঘর্ষ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আইনজীবীদের পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোতোয়ালি জোন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মুহিত কবির সেরনিয়াবাতসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির মূল ফটকের সামনে এ সংঘর্ষ হয়।

জানা গেছে, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দুপুরে ঢাকা আইনজীবী সমিতি থেকে পদযাত্রা বের করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এর নেতৃত্ব দেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। মিছিলটি আদালতের সামনের প্রধান সড়ক এলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আইনজীবীরা রাস্তায় বসে পড়ে। পুলিশ সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।

একনপর্যায়ে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। তারপরও আইনজীবীরা সামনের দিকে এগিয়ে যান। তারা ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের প্রধান ফটকের সামনে যান। সেখান দিয়ে সিএমএম আদালতে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। কিছুক্ষণ সেখানে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে পুলিশ প্রধান ফটক খুলে দেয়। আইনজীবীরা সিএমএম আদালতের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ অবস্থান করে তারা সেখান থেকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আসেন। তারা সেখানে এসে সমাবেশ করেন।

এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলো, কোতোয়ালি জোনের এডিসি মুহিত কবির সেরনিয়াবাত, কোতোয়ালি থানার ওসি শাহীনুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক বশির এবং কনস্টেবল হারুন।

এ ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আজকে পুলিশের আক্রমণ জঙ্গির মতো আচারণ করেছে। নির্বিচারে তারা আইনজীবীদের পিটালো। তারা জঙ্গিদেরকে হার মানিয়েছে। তারা আইনজীবী বোনদের টর্চার করেছেন। গায়ে হাত দিয়েছেন। সবাই এডিসি হারুন হতে চায়। আজকে আমাদের প্রোগাম ছিল শান্তিপূর্ণ পথযাত্রা। কোর্ট থেকে বের হলে পুলিশ জঙ্গির মতো ঝাপিয়ে পড়লো।
তিনি আরো বলেন, এডিসি হারুন ছাত্রদের মারলো। তারপর সুপ্রীম কোর্টে আইনজীবীদের উপর হামলা করেছে। বিচার হয়নি। অথচ দুইজন ছাত্রলীগের কর্মীকে মেরে রবখাস্ত হয়েছে। সরকারি দলের দুইজন আহত হওয়ায় এডিসি হারুনকে বরখাস্ত করা হয়। অথচ হাজরো মানুষের উপর হামলা করেছেন তার কোন বিচার নেই।
পুলিশের লাঠিচার্জে অর্ধশতাধিক আইনজীবী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের আন্দোলন চলছে, চলবে। যতই বাধা আসুক, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। যত বাধা আসবে, আন্দোলন আরও কঠোর হবে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি শাহিনুর বলেন, বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা রাস্তায় অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তারা জোরপূর্বক মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। এ সময় তাদের হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবী-পুলিশ সংঘর্ষ

আপডেট সময় : ০৮:০৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবী-পুলিশ সংঘর্ষ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আইনজীবীদের পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোতোয়ালি জোন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মুহিত কবির সেরনিয়াবাতসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির মূল ফটকের সামনে এ সংঘর্ষ হয়।

জানা গেছে, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দুপুরে ঢাকা আইনজীবী সমিতি থেকে পদযাত্রা বের করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এর নেতৃত্ব দেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। মিছিলটি আদালতের সামনের প্রধান সড়ক এলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আইনজীবীরা রাস্তায় বসে পড়ে। পুলিশ সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।

একনপর্যায়ে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। তারপরও আইনজীবীরা সামনের দিকে এগিয়ে যান। তারা ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের প্রধান ফটকের সামনে যান। সেখান দিয়ে সিএমএম আদালতে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। কিছুক্ষণ সেখানে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে পুলিশ প্রধান ফটক খুলে দেয়। আইনজীবীরা সিএমএম আদালতের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ অবস্থান করে তারা সেখান থেকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আসেন। তারা সেখানে এসে সমাবেশ করেন।

এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলো, কোতোয়ালি জোনের এডিসি মুহিত কবির সেরনিয়াবাত, কোতোয়ালি থানার ওসি শাহীনুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক বশির এবং কনস্টেবল হারুন।

এ ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আজকে পুলিশের আক্রমণ জঙ্গির মতো আচারণ করেছে। নির্বিচারে তারা আইনজীবীদের পিটালো। তারা জঙ্গিদেরকে হার মানিয়েছে। তারা আইনজীবী বোনদের টর্চার করেছেন। গায়ে হাত দিয়েছেন। সবাই এডিসি হারুন হতে চায়। আজকে আমাদের প্রোগাম ছিল শান্তিপূর্ণ পথযাত্রা। কোর্ট থেকে বের হলে পুলিশ জঙ্গির মতো ঝাপিয়ে পড়লো।
তিনি আরো বলেন, এডিসি হারুন ছাত্রদের মারলো। তারপর সুপ্রীম কোর্টে আইনজীবীদের উপর হামলা করেছে। বিচার হয়নি। অথচ দুইজন ছাত্রলীগের কর্মীকে মেরে রবখাস্ত হয়েছে। সরকারি দলের দুইজন আহত হওয়ায় এডিসি হারুনকে বরখাস্ত করা হয়। অথচ হাজরো মানুষের উপর হামলা করেছেন তার কোন বিচার নেই।
পুলিশের লাঠিচার্জে অর্ধশতাধিক আইনজীবী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের আন্দোলন চলছে, চলবে। যতই বাধা আসুক, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। যত বাধা আসবে, আন্দোলন আরও কঠোর হবে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি শাহিনুর বলেন, বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা রাস্তায় অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তারা জোরপূর্বক মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। এ সময় তাদের হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।