DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশুক্রবার ১০ই মে ২০২৪
ঢাকাশুক্রবার ১০ই মে ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে কলেজ শিক্ষিকার অবস্থান, ইউএনওকে ওএসডি

Abdullah
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩ ১:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে কলেজ শিক্ষিকার অবস্থান, ইউএনওকে ওএসডি

জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল ইসলাম আড়াই বছর আগে কলেজ শিক্ষিকা জিনাত আরা খাতুনকে
তাঁকে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করে। ওই নারী আরিফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী থাকার কথা জানতে পেরে গত বুধবার বিকেলে সন্তান নিয়ে ইউএনওর কার্যালয়ে হাজির হন। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা তাঁকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে ঢুকতে বাধা দেন। তখন তিনি সন্তান নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে বসে পড়েন।

এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামকে ওএসডি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সিনিয়র সহকারী সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল ইসলামকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সহকারী সচিব) পদে নিয়োগ করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজীও তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

জিনাত আরার দাবি আক্কেলপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম দিনাজপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থাকাকালে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ২০ লাখ ১০১ টাকা দেনমোহর ধার্য করে তাঁদের বিয়ে হয়। তিনি প্রথম স্ত্রী থাকার কথা জানতেন না। বিয়ের কাবিননামায় প্রথম স্ত্রী থাকার কথা উল্লেখ করা হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্ত্রী দাবি করা এই নারীর অভিযোগ, বিয়ের পর তাঁদের সংসারে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। সাপ্তাহিক ছুটিতে আরিফুল দিনাজপুরের বাসায় গিয়ে থাকতেন। পাঁচ-ছয় দিন ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তিনি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারছিলেন না।

কলেজ শিক্ষিকা জিনাত আরা বলেন, বাধ্য হয়ে বুধবার দুপুরে আক্কেলপুরে এসে আমার স্বামী ইউএনও মোঃ আরিফুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। আমার স্বামী তাঁর নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে আমাদের দুটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। তাঁরা আমাকে সেখান থেকে বের করে দেন। এর প্রতিবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে প্রধান সড়কের এসে বসে পড়ি। পরে আমাকে তাঁর কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

আরো পড়ুন :  নেত্রকোণা জনস্বাস্থ্যের প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

তিনি বলেন, সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান, আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র, আক্কেলপুর উপজেলা সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আমার কথা শোনেন। এরপর সন্ধ্যায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমাকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে থাকতে চাই। আমার আগে একটি সংসার ছিল। আমি ইউএনওর সংসার করব।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম আকন্দ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা বসেছিলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তালাকনামা আমরা দেখেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা এর একটি সমাধান বের করার চেষ্টা করছি।

আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, আমাকে ব্ল্যাকমেল করে ট্র্যাপে ফেলে বিয়ে করেছিল মেয়েটি। বিয়ের পর সে আমার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিল। আরও টাকা নিতেই পরিকল্পিতভাবে কিছু লোকজন নিয়ে আক্কেলপুরে এসেছিল আমাকে সমাজের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করতে।

তিনব আরও বলেন, আমি তাকে অসম্মান করিনি। বরং সেই আমাকে হেনস্তা করার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তাকে তালাক দিয়েছি। আমি বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবিলা করবো।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৩:৫৩
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৩৫
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৩:৫৮
  • ১১:৫৮
  • ৪:৩২
  • ৬:৩৫
  • ৭:৫৭
  • ৫:১৮