জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে-সিইসি
স্টাফ রিপোর্টারঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করার চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য ও শৃঙ্খল হতে হবে। ফ্রি-ফেয়ার-ক্রেডিবল নির্বাচন হতে হবে। আলোচনা আছে, আমাদের ওপর আস্থা নেই, সরকারের ওপর আস্থা নেই, আমরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে চাই।
আজ রোববার (১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে ইউএনওদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এর আগে গত ৩১ জুলাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি- এই দুই দলের সঙ্গে বৈঠকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তর্কবিতর্কের বিষয়টি উত্থাপন করেন সিইসি। অনেক সময় অপপ্রচার হয়, ভোটারদের কেউ যেন প্রভাবিত করতে না পারে, তাও নির্বাচন কমিশন দেখবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে হাবিবুল আউয়াল বলেন, জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে৷ মাঠের পরিবেশ ঠিক রাখতে হবে, শৃঙ্খলা বিনষ্ট হলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে না আসতে পারলে এর দায়িত্ব আপনাদের উপর পড়বে। তিনি বলেন, কোনো ভুল তথ্য যেন না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ। নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রথম দফায় দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে চারটি ব্যাচে ৫০ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ৫০ জন উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা অংশ নেন।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, নির্বাচনে যেন আস্থার সংকট তৈরি না হয়, সেভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সবার দায়িত্ব সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে। কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত- সেটা মনে রাখতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে৷ মাঠের পরিবেশ ঠিক রাখতে হবে।