ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দোহাজারী কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শনে প্রথম ট্রেন

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৬:২৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১০৫২ বার পড়া হয়েছে

দোহাজারী কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শনে প্রথম ট্রেন

আতিকুর রহমান/চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

উদ্বোধন হতে যাওয়া কক্সবাজার রুটের নতুন রেলপথ পরিদর্শনে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গেছে একটি ট্রেন।

আজ রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায়
চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। নতুন রেলপথ ট্রেন চলাচলের জন্য নিরাপদ কিনা, সেটি দেখতেই ট্রেন চালিয়ে এটি পরদর্শন করছেন রেল কর্মকর্তারা।

সকাল পৌনে ১০টার দিকে পরিদর্শন ট্রেনটি মেরামত হওয়া কালুরঘাট সেতু পার হয়। কক্সবাজারের পথে যাওয়া এই ট্রেনে রয়েছে আটটি বগি৷

চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে সকালে পূর্ব রেলের জিএম নাজমুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “নতুন নির্মিত রেলপথ ট্রেন চলাচলের জন্য নিরাপদ কিনা, তা দেখার জন্যই এই পরিদর্শন। এটি রেলের রুটিন কাজ। এটা কোনো ট্রায়াল রান না, এটা পরিদর্শন ট্রেন।”

নবনির্মিত এই রেলপথের মাধ্যমেই প্রথমবারের মত কক্সবাজারের সঙ্গে রেল যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে। শনিবার কালুরঘাট সেতুতে তিনটি ইঞ্জিন চালিয়ে ট্রায়াল দেওয়া হয়। আগামী ১১ নভেম্বর নতুন এই রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মোট ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা দিয়েছে। বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।

প্রকল্পের জন্য কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে নয়টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট এবং ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট।

মোট ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা দিয়েছে। বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।

প্রকল্পের জন্য কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে নয়টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট এবং ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট।

এডিবি বিশদ সমীক্ষা পরিচালনা করে ট্রান্স এশিয়ান রেল লাইনের আওতায় প্রকল্পটিতে অর্থায়নে সম্মতি দেয়। এরপর ২০১৭ সালে প্রথম সংশোধনীতে প্রকল্পটির ব্যয় ১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।

এরপর মহামারীর কারণে কাজের অগ্রগতি প্রত্যাশিত না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে তার আগেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এই রেলপথ।

ট্যাগস :

দোহাজারী কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শনে প্রথম ট্রেন

আপডেট সময় : ০৬:২৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

দোহাজারী কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শনে প্রথম ট্রেন

আতিকুর রহমান/চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

উদ্বোধন হতে যাওয়া কক্সবাজার রুটের নতুন রেলপথ পরিদর্শনে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গেছে একটি ট্রেন।

আজ রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায়
চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। নতুন রেলপথ ট্রেন চলাচলের জন্য নিরাপদ কিনা, সেটি দেখতেই ট্রেন চালিয়ে এটি পরদর্শন করছেন রেল কর্মকর্তারা।

সকাল পৌনে ১০টার দিকে পরিদর্শন ট্রেনটি মেরামত হওয়া কালুরঘাট সেতু পার হয়। কক্সবাজারের পথে যাওয়া এই ট্রেনে রয়েছে আটটি বগি৷

চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে সকালে পূর্ব রেলের জিএম নাজমুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “নতুন নির্মিত রেলপথ ট্রেন চলাচলের জন্য নিরাপদ কিনা, তা দেখার জন্যই এই পরিদর্শন। এটি রেলের রুটিন কাজ। এটা কোনো ট্রায়াল রান না, এটা পরিদর্শন ট্রেন।”

নবনির্মিত এই রেলপথের মাধ্যমেই প্রথমবারের মত কক্সবাজারের সঙ্গে রেল যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে। শনিবার কালুরঘাট সেতুতে তিনটি ইঞ্জিন চালিয়ে ট্রায়াল দেওয়া হয়। আগামী ১১ নভেম্বর নতুন এই রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মোট ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা দিয়েছে। বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।

প্রকল্পের জন্য কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে নয়টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট এবং ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট।

মোট ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা দিয়েছে। বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।

প্রকল্পের জন্য কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে নয়টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট এবং ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট।

এডিবি বিশদ সমীক্ষা পরিচালনা করে ট্রান্স এশিয়ান রেল লাইনের আওতায় প্রকল্পটিতে অর্থায়নে সম্মতি দেয়। এরপর ২০১৭ সালে প্রথম সংশোধনীতে প্রকল্পটির ব্যয় ১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।

এরপর মহামারীর কারণে কাজের অগ্রগতি প্রত্যাশিত না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে তার আগেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এই রেলপথ।