হিলিতে বিপাকে পাথর ব্যবসায়ীরা
জয়নাল আবেদীন জয়/জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের হিলিবন্দরে ক্রেতা সংকটে পাথর নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানি কমলেও বন্দরে অবিক্রিত ভাবে পড়ে আছে কয়েক হাজার মেট্রিক টন পাথর। আগে যেখানে প্রতিদিন ভারত থেকে আমদানি হতো ১৫০ থেকে ১৬০ ট্রাক পাথর ।
সেখানে এখন আমদানি হচ্ছে দিনে ১০ থেকে ৩০ ট্রাক। রোববার ( ১২ নভেম্বর) হিলি বন্দরের পাথর ব্যবসায়ীসহ বন্দর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এতথ্য জানা গেছে।
হিলিবন্দরের পাথর আমদানিকারক মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, দেশের চাহিদার সিংহ ভাগ পাথর আমদানি হয়ে থাকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। দেশের মেগা প্রকল্প থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি সকল কাজে রাস্তাঘাট, কালর্ভাট, বিল্ডিংসহ নানা কাজে ব্যবহৃত পাথর এই বন্দর দিয়ে সরবরাহ করা হতো। এদিকে ডলার সংকট, এলসি জটিলতার কারণে এই বন্দর দিয়ে কমেছে ভারত থেকে পাথরের আমদানি। সেই সঙ্গে ক্রেতা না থাকায় কমেছে বিক্রিও।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি মোঃ হারুন-উর-রশিদ বলেন, এই বন্দর দিয়ে আগে প্রচুর পাথর আমদানি হতো। রাজস্ব আয়ও বেশি হতো। এখন পাথর আমদানি কমে যাওয়ায় বন্দরের রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরে বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে আছে কয়েক হাজার মেট্রিক টন পাথর। এসব পাথরের দাম কমিয়ে দিয়েও বিক্রি না হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
হারুন-উর-রশিদ আরও বলেন, বর্তমানে ৩/৪ সাইজের পাথর প্রতিটন বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ১০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা দরে। যা আগে ছিল ৪ হাজার ৩০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা প্রতিটন। এছাড়াও অন্যান্য সাইজের পাথরের দাম কমেছে টনপ্রতি ২০০ টাকার বেশি।
পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন মল্লিক দৈনিক আস্থা কে বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের গেলো ৪ মাসে ভারত থেকে পাথর আমদানি হয়েছে ৪২ হাজার ২১০ মেট্রিক টন যা থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৩ কোটি ৯২ হাজার টাকা।