DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশনিবার ২৩শে নভেম্বর ২০২৪
ঢাকাশনিবার ২৩শে নভেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

মজুদদারির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর বার্তা

Ellias Hossain
জানুয়ারি ১৯, ২০২৪ ১:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মজুদদারির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর বার্তা

আস্থা ডেস্কঃ

মজুদদারি রোধ এবং নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যের গতি টেনে ধরতে কঠোর বার্তা দিলেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনপরবর্তী নবগঠিত সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা।

কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ডক্টর মোঃ আব্দুস শহীদ গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, মজুদদারদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ইনশাল্লাহ আমরা দ্রুতই সিন্ডিকেট ভেঙে দেব।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রয়োজনে মজুদদারির বিরুদ্ধে ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, জুলাই থেকে দেশে সিন্ডিকেট বলতে কিছু থাকবে না।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক গণসংবর্ধনায় গতকাল দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ডক্টর মোঃ আব্দুস শহীদ বলেন, আমরা জানি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে সব সময় একটি সিন্ডিকেট কাজ করে। এ সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার ব্যাপারে কোনো ভয় নেই। ইনশাল্লাহ আমরা দ্রুতই সিন্ডিকেট ভেঙে দেব। এখন ভয় পাবে

তিনি আরও বলেন, যারা মজুদদারি করে তাদের রোধ করতে হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মজুদদারি ধর্মেও হারাম।

তিনি আরও বলেন, দেশের মোট জিডিপির ৮০ শতাংশ কৃষি খাতের ওপর নির্ভরশীল। তাই কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করবে। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের ভালো বীজ ও সার এবং অন্যান্য উপকরণ প্রয়োজন। কোনো অবস্থাতেই এসব সরবরাহে কার্পণ্য করা হবে না। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কৃষি উপকরণ যাতে কৃষকরা পান সে ব্যাপারে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মজুদদারির জন্য জরিমানা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনে ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হবে। অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে। তিনি আরও বলেন, কেউ ফুড গ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া ধান চালের ব্যবসা করতে পারবে না। লাইসেন্স ছাড়া কেউ অবৈধ মজুদ করলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার এখন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ মানুষকে শান্তিতে রাখা। সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে খুব শিগগিরই।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, জুলাই থেকে দেশে সিন্ডিকেট বলতে কিছু থাকবে না। আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করব। মূল্য নির্ধারণটা হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এটা কখনো জোর করে করা যায় না। বাজারমূল্য কখনো আর্টিফিশিয়ালি দীর্ঘদিন ধরে রাখা যায় না। সে জন্য আমরা চেষ্টা করছি একটি স্মার্ট বাজার ব্যবস্থা চালুর।

আরো পড়ুন :  আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

সিন্ডিকেট ভাঙতে পারবেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ওই শব্দটা ব্যবহার করতে চাই না। আমি মনে করি বাংলাদেশে যারা ব্যবসা করেন, তারা সৎ ও উদ্যোগী। পাঁচ দিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি। আমাকে একটু সময় দিন। তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেলে এ শব্দটা (সিন্ডিকেট) আর ব্যবহার করা লাগবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমি বললাম, ১ জুলাই থেকে এ শব্দটা ব্যবহার করা লাগবে না। ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করেন, কেউ কারসাজিতে যুক্ত নন বলেই আমি বিশ্বাস করি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো জিনিস উৎপাদন ও আমদানি করে না। পণ্যের দাম আমি কমাতে পারব না, কিন্তু দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে পারব। আশা করি আজকে যে উদ্যোক্তারা এখানে এসেছেন, তাদের সহযোগিতায় আমি এমন একটা বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে পারব, যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো বড় ক্রাইসিস না হলে পণ্যে সংকট থাকবে না। আর কৃষি পণ্য, যেমন পেঁয়াজের যৌক্তিক মূল্য কত হওয়া উচিত সেটা কৃষি মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। চালের মূল্য বলতে পারবে খাদ্য মন্ত্রণালয়। আপনি যে বাজার ব্যবস্থা চান।

বাজার ব্যবস্থা রিফর্ম করতে কত দিন লাগবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা একটা স্মার্ট বাজার ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছি। যেখানে উৎপাদক, আমদানিকারক থেকে ভোক্তা- মাঝখানে যে বাধা আছে সেগুলো দূর করে স্বচ্ছ বাজার ব্যবস্থা করা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দাম কমাব না, তবে দাম কমানোর মেকানিজম আমাদের কাছে। স্বচ্ছ বাজার ব্যবস্থাপনার মধ্যেই যৌক্তিক মূল্য আসবে। আমি যদি এ মুহূর্তে বলি দাম কমাব, দেখা গেল জাহাজের ভাড়া বেড়ে গেল, তাহলে এটাতে আমার হাত নাই। আমি বলতে পারি দাম যৌক্তিক থাকবে, স্বচ্ছ থাকবে, রেফারেন্স মূল্য আন্তর্জাতিক থাকবে।

পণ্যমূল্য জানতে ‘৩৩৩’ নম্বরে ফোন করে তথ্য পাওয়ার ব্যবস্থা করতে চায় সরকার। জরুরি সেবা পাওয়ার জন্য যেমন রয়েছে ‘৯৯৯’ হটলাইন। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছে। তারা একটি সেল গঠন করবে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৫৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:১৫
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০২
  • ১১:৪৭
  • ৩:৩৬
  • ৫:১৫
  • ৬:৩১
  • ৬:১৬