বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদায় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় নিহত শহীদদের প্রতি জেলা পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
রবিরাব (৭ জুলাই) সকালে ঘটনাস্থল আজিমুদ্দিন হাই স্কুলসংলগ্ন চরশোলাকিয়া সবুজবাগ মোড়ে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, বিপিএম-(সেবা), পিপিএম-(বার) জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের নিয়ে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এমএ আফজল, মেয়র পারভেজ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আল আমিন, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৭ জুলাই শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত ও জামাতের ইমাম মুফতি ফরিদ উদ্দিন মাসউদের ওপর হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জঙ্গিরা চাপাতি, বোমা এবং পিস্তল নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। জঙ্গিরা চাপাতি দিয়ে আনসারুল হক ও জহিরুল ইসলাম নামে দু’জন কনস্টেবলকে কুপিয়ে হত্যা করে।
খবর পেয়ে অন্য পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে গিয়ে তাদের প্রতিরোধ করলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কুমিল্লার সন্তান জঙ্গি আবির রহমান (২৩) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এছাড়া নিজ বাসায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঝর্ণা রাণী ভৌমিক (৪০) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়। এ সময় আহত হন আরও ১২ পুলিশ সদস্য।
বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে র্যাবের হাতে বুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অপর জঙ্গি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট এলাকার শফিউল ইসলাম (২২) ধরা পড়ে। শফিউল পরবর্তী সময়ে এনকাউন্টারে মারা যায়। কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিম তারাপাশা এলাকার জাহিদুল হক তানিম (২৬) নামে এক যুবকও ঘটনাস্থল থেকে আটক হয়।