ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক বছরেও আ’লীগ নেতা বাদল রহমানের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হয়নি

Rayhan Zaman
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
  • / ১০৪৬ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বাদল রহমানের রহস্যজনক মৃত্যুর এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো রহস্য উদঘাটন হয়নি।

গেলো বছর  ৯ জুলাই সকালে কিশোরগঞ্জ শহরের বেপারী বাড়ি এলাকায় একটি পুকুরে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক বাদল রহমানের লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগের রাতে বাদল রহমান খরমপট্টি এলাকার ‘মোল্লাবাড়ি’ নামে ভাড়া বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। কখন কীভাবে তিনি পুকুরে গেলেন, কীভাবেই বা মৃত্যু হলো, বিষয়টি নিয়ে জনমনে রহস্য দানা বাঁধে।

এ ঘটনায় বাদল রহমানের বড় ছেলে আসিফুর রহমান শাহীল বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। তবে এক বছরেও মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় স্বজনসহ সুশীলরাও হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আহমাদ ফরিদ বলেন,বাদল রহমানের মৃত্যু রহস্যজনক। এতদিনেও এ রহস্য উদঘাটিত না হওয়া দুঃখজনক। পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে জেনে আমরা আশাবাদী ছিলাম, এবার হয়তো এ মৃত্যুরহস্য উদঘাটিত হবে। তিনি খুন হয়ে থাকলে খুনিরা আইনের আওতায় আসবে এমনটাই আমার প্রত্যাশা।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, বিপিএম-(সেবা), পিপিএম-(বার)  বলেছেন, পুলিশের সব শাখা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ক্লু হাতে আসেনি।

বাদল রহমান এলজিইডির প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার এবং কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি দানবীর হিসেবেও ছিলেন বেশ পরিচিত। ২০২১ সালে ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর প্রথম স্ত্রী শারমিন আক্তার লুৎফা ক্যান্সারে মারা যান। সে বছরের ৩ মে তিনি পুরান ঢাকার হাটখোলা এলাকার আয়েশা আহমেদকে বিয়ে করেন। এর পর ‘লুংফা নিবাস’ ছেড়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আধা কিলোমিটার দূরে মোল্লাবাড়ির ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন এবং গেলো বছরের ০৯ জুলাই রহস্যজনক ভাবে তিনি মারা যান।

এক বছরেও আ’লীগ নেতা বাদল রহমানের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হয়নি

আপডেট সময় : ১১:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বাদল রহমানের রহস্যজনক মৃত্যুর এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো রহস্য উদঘাটন হয়নি।

গেলো বছর  ৯ জুলাই সকালে কিশোরগঞ্জ শহরের বেপারী বাড়ি এলাকায় একটি পুকুরে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক বাদল রহমানের লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগের রাতে বাদল রহমান খরমপট্টি এলাকার ‘মোল্লাবাড়ি’ নামে ভাড়া বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। কখন কীভাবে তিনি পুকুরে গেলেন, কীভাবেই বা মৃত্যু হলো, বিষয়টি নিয়ে জনমনে রহস্য দানা বাঁধে।

এ ঘটনায় বাদল রহমানের বড় ছেলে আসিফুর রহমান শাহীল বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। তবে এক বছরেও মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় স্বজনসহ সুশীলরাও হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আহমাদ ফরিদ বলেন,বাদল রহমানের মৃত্যু রহস্যজনক। এতদিনেও এ রহস্য উদঘাটিত না হওয়া দুঃখজনক। পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে জেনে আমরা আশাবাদী ছিলাম, এবার হয়তো এ মৃত্যুরহস্য উদঘাটিত হবে। তিনি খুন হয়ে থাকলে খুনিরা আইনের আওতায় আসবে এমনটাই আমার প্রত্যাশা।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, বিপিএম-(সেবা), পিপিএম-(বার)  বলেছেন, পুলিশের সব শাখা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ক্লু হাতে আসেনি।

বাদল রহমান এলজিইডির প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার এবং কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি দানবীর হিসেবেও ছিলেন বেশ পরিচিত। ২০২১ সালে ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর প্রথম স্ত্রী শারমিন আক্তার লুৎফা ক্যান্সারে মারা যান। সে বছরের ৩ মে তিনি পুরান ঢাকার হাটখোলা এলাকার আয়েশা আহমেদকে বিয়ে করেন। এর পর ‘লুংফা নিবাস’ ছেড়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আধা কিলোমিটার দূরে মোল্লাবাড়ির ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন এবং গেলো বছরের ০৯ জুলাই রহস্যজনক ভাবে তিনি মারা যান।